এম এ আলিম রিপনঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও ‘দেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন নির্দেশনায় সুজানগরে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে তৃতীয় ধাপে জমির মালিকানা সহ মাথা গোঁজার নতুন ঠিকানা পেতে যাওয়া ১৪ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোর জন্য নির্মাণাধীন ঘর পরিদর্শন করেছেন পাবনা জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় গৃহহীনদের এসব বসতবাড়ি নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের তদারকিতে ঘরগুলোর নির্মাণ কাজ বর্তমানে শেষ পর্যায়ে রয়েছে । সোমবার উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের সিন্দুরি বোরোরিয়ায় ১০টি ঘরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন । এ সময় সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন,উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলী,উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমুল হুদা ও সাগরকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান শাহীন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, সরকারের এক নম্বর খাস খতিয়ানভূক্ত সম্পত্তিতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রেরিত ডিজাইন অনুসরণ করে এসব সেমিপাকা বসতবাড়ি নির্মাণ করছে উপজেলা প্রশাসন। ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ সব বসতবাড়িতে থাকছে দুইটি শয়নকক্ষ, একটি টয়লেট,রান্নাঘর ও একটি বারান্দা। প্রত্যেক পরিবারের জন্য নির্মাণ করা হয়েছে আলাদা আলাদা বাড়ি। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নাজমুল হুদা জানান, তৃতীয় ধাপের ঘরগুলোর নকশার কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এবং নতুন ডিজাইন অনুসরণ করে যথাযথভাবে ঘরগুলো নির্মাণ কাজ চলছে। নির্মাণ কাজ সার্বক্ষণিক তদারকি করছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রওশন আলী জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে উপজেলার নতুন করে তৃতীয় ধাপে আরো ১৪ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের জন্য সাগরকান্দি ইউনিয়নের সিন্দুরি বোরোরিয়ায় ১০ টি ও ভাঁয়না ইউনিয়নের কাঁঠালবাড়িয়ায় ৪টি বসতবাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ছিন্নমূল ও ভূমিহীন পরিবারের তথ্য স্থানীয় ভূমি অফিস থেকে যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পরেই সুবিধাভোগীদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আর এই প্রকল্পের অধীনে ভূমিহীন-গৃহহীন বিধাব, অসহায়, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনামূল্যে এই ঘরগুলো দেওয়া হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হলেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী অতিদ্রুতই ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে নতুন ঘর, জমি কবুলিয়াত করে দেয়া সহ অন্যান্য কাগজপত্র হস্তান্তর করা হবে। উল্লেখ্য এর আগে প্রথম ধাপে সুজানগর উপজেলার ২০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার ও দ্বিতীয় ধাপে ১২ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমির মালিকানা সহ নতুন ঘর প্রদান করা হয়।