২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

সুজানগরে উঠছে নতুন বাদাম,ফলন বিপর্যয়ে হতাশ কৃষক

শেয়ার করুন:

এম এ আলিম রিপন,সুজানগর ঃ সুজানগর উপজেলার পদ্মা নদীর জেগে ওঠা চরে  চিনাবাদাম চাষে এবার কৃষকের আশার প্রতিফলন ঘটেনি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ তীব্র খরায় চিনা বাদামের এবার ফলন বিপর্যয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন এ অঞ্চলের বাদাম চাষিরা। সুজানগর উপজেলা কৃষি অফিসার রাফিউল ইসলাম জানান,চলতি বছরে উপজেলার ৩৫০ হেক্টর জমিতে  চিনাবাদাম চাষ করা হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪০০ হেক্টর জমি।  প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এবারে উৎপাদন কম হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। জানাযায় সুজানগর পৌরসভা সহ উপজেলার ভাঁয়না, সাতবাড়ীয়া, মানিকহাট, নাজিরগঞ্জ ও সাগরকান্দি ইউনিয়নের প্রায় ৩০ কিলোমিটার অংশে রয়েছে পদ্মা নদী। আর এই বিশাল জায়গা জুড়ে যেখানে চর জেগে উঠে সেখানেই প্রতিবছর বাদাম চাষ হয়ে থাকে। সোমবার(৩১ মে) উপজেলার সাতবাড়ীয়া ইউনিয়নের তারাবাড়ীয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জমি থেকে উঠানো  নতুন বাদাম গাছ  থেকে  বাদাম আলাদা করতে ব্যস্ত সময় পার করছে এ এলাকার নারী-পুরুষ। এ সময় স্থানীয় বাদাম চাষি  সাখাওয়াত পারভেজ রুবেল বলেন, তিনি ৫ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। কিন্ত  প্রচন্ড খরায়  ফলন ভাল হয়নি। গত বছর প্রতি বিঘা জমিতে যেখানে ৮-৯ মণ বাদাম হয়েছে, এবারে সেখানে প্রতি বিঘা জমিতে ৪-৫ মণ বাদাম হয়েছে। আব্দুল জব্বার নামে অপর এক চাষি বলেন প্রতি বিঘা জমিতে এবারে বাদাম চাষ করতে চিনাবাদামের বীজ, ক্ষেতের সার ও হাল ব্যয়সহ অন্যান্য যে খরচ হয়েছে,তা উঠানো সম্ভব হবেনা। এদিকে রবিবার সুজানগর পৌর হাটে গিয়ে দেখাযায় নতুন উঠা চিনাবাদাম দুইহাজার আটশত টাকা থেকে  তিনহাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভূক্তভোগীরা দাবি করেন, এ বিপদ কাটিয়ে উঠতে সরকারের কাছে আমরা  আর্থিক ক্ষতিপূরণ দাবি করছি। করোনার এ মুহূর্তে সরকার আমাদের পাশে  না দাঁড়ালে কিংবা আর্থিকভাবে সহযোগিতা না করলে আমাদের আর কোথাও যাওয়ার জায়গা  থাকবেনা। সুজানগর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহজাহান আলী বলেন,করোনায় সারাদেশ স্থবির। কৃষকেরা ভালো ফসল উৎপাদনের আশা  ও ভালো দামে বিক্রি করার স্বপ্ন নিয়ে এগোচ্ছিল। কিন্তু খরা তাদের সে আশা ধ্বংস করে দিয়েছে।