১৭ই জুন, ২০২৫ 🔻 ৩রা আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২০শে জিলহজ, ১৪৪৬

সুজানগরে একই বিদ্যালয়ে দুই প্রকাশনীর গাইড,টাকা নিয়ে দ্বন্দ্ব, শিক্ষার্থী অভিভাবকরা হতাশ 

শেয়ার করুন:

পাবনা জেলার ঐতিহ্যবাহী দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ে টাকা বিনিময়ে দুই পাবলিকেশনের গাইড বই অনুমোধন নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। যে কোন সময সংঘর্ষের আশংকা। দুই প্রকাশনীর গাইড বই ও সিলেবাস নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হতাশা প্রকাশ।
জানাযায়,  চলতি ২০২৫ শিক্ষা বর্ষের পাঠ্য সহায়ক হিসেবে দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ে দুই প্রকাশনী ( পাঞ্জেরী ও লেকচার) এর গাইড বই পাবলিকেশনের সাথে চুক্তি করেছেন শিক্ষক প্রতিনিধি গ্রুপ ও প্রধান শিক্ষক গ্রুপ।  যা সরকারি ভাবে নিষিদ্ধ।  সরকারি নিয়ম অমান্য করে  দীর্ঘদিন যাবত দুলাই উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষকের যোগ সাজোসে গাইড বাণিজ্য চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায়, ২০২৫ শিক্ষা বর্ষের জন্যর লেকচার পাবলিকেশনের নিকট থেকে গাইড চলানোর চুক্তিতে প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন লিটনের নেতৃত্বে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা কমিশন গ্রহণ করেন। অপরদিকে শিক্ষক মন্ডলীদের পক্ষ থেকে সহকারী শিক্ষক এনামুল হোসেনের নেতৃত্বে পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের নিকট থেকে তিন লক্ষ টাকা কমিশন বাবদ গ্রহণ করা হয। যে টাকা স্কুলের মসজিদ উন্নয়ন কাজের জন্য ১ লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়। অবশিষ্ট ২ লক্ষ টাকা শিক্ষক, কর্মচারীদের মধ্যে ঈদের পূর্বে বন্টন করে দেয়া হয়।  শিক্ষকরা দাবি করেন লেকচার প্রকাশনীর গাইডের টাকা, প্রধান শিক্ষক তার অনুসারী সহকারী  শিক্দোসক শামসুজ্জামান দোলার মাধ্যমে ব্যাংকে জমা রাখেন। যা পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করে নেয়। সহকারী  শিক্ষক এনামুল হক জানান,  পাঞ্জেরী গাইডে টাকা শিক্ষকদের মধ্যে বন্টন করা হলেও, প্রধান শিক্ষক লেকচার গাইডের টাকা নিজেই আত্মসাত করছে। প্রধান শিক্ষক লেকচার গাইডের কমিশনের টাকা হজম করার জন্য নিজেই ওই গাইডের উপর ভিত্তি করে সিরেবাস তৈরি করে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বিতরণের চেষ্টা করে। রবিবার ২৭ এপ্রিল সিলেবাস বিতরণের চেষ্টা করলে প্রতিপক্ষ গ্রুপ তাতে বাধা প্রদান করেনশিক্ষকদে  দাবি প্রধান শিক্ষক যদি লেকচার পাবলিকেশনের নিকট থেকে ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে তা শিক্ষকদের সঠিক ভাবে বন্টন করেন তাহলে আমরা পাঞ্জেরীর নিকট থেকে গ্রহণ করা টাকা ফেরত দিতে রাজী আছি।  দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মচারীরা জানান, শিক্ষকরা পতি বছরই বইয়ের কোম্পানীর নিকট থেকে কমিশন নিলেও আমরা বঞ্চিত হই। এবার আমরা কমিশন থেকে ২ হাজার করে টাকা পেয়েছি।
এ দিকে দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে হতাশ প্রকাশ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা শিক্ষকদের বই বানিজ্য ও ভাগবাটোরা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। অভিভাবকদের দাবি একই স্কুলে দুই গাইড চললে শিক্ষার্থীদের তো উভয় গাইড ত্রয় করা সম্ভব নয়।  আমরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। তা ছাড়াও প্রশ্নপত্র প্রনোয়নসহ বিবিন্ন ভাবে  শিক্ষার্থীরা বিভ্রান্তির মধ্যে পড়বে।
এ দিকে রবিবার সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট এ সংকান্ত একটি অভিযোগ দাযের করা হয়েছে।
বিদ্যালয়টির অভিভাবক সিবলু জানান, আমার সন্তানের জন্য সিলেবাস সংগ্রহ করার জন্য ঘুরে ক্লান্ত হলে  শিক্ষকদের গ্রুপিংেয়ের জন্য সিলেবাস পাচ্ছি না। নাম না প্রকাশ করার সর্তে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর মা জানান, স্কুল থেকে দুটি গাইডের নাম বলা হয়েছে। আমাদের দুটি গাইড ক্রয় করা সম্ভব নয়। আমার সন্তানের জন্য পাঞ্জেরী গাইড ক্রয় তরছি। এ নিয়ে আমরা চিন্তায রয়েছি। কখন আবার কোন সিদ্ধান্ত দেন।
পাঞ্জেরী পাবলিকেশনের প্রতিনিধি আব্দুর রহমান ও লেকচার পাবলিকেশনের মেহেদী হাসান টাকার পরিমান উল্লেখ না করে কমিশন গ্রহণের কথা স্বীকার করেন। তবে মেহেদী হাসান এ নিয়ে হাতাশ বলে জানান।
দুলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন লিটনের সাথে বার বার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
  এ বিষয়ে সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর রাশেদুজ্জামান জরুরী মিটিংয়ে থাকায় তার বক্তব্য নেযা সম্ভব হয়নি।