২২শে জুন, ২০২৫ 🔻 ৮ই আষাঢ়, ১৪৩২🔻 ২৫শে জিলহজ, ১৪৪৬

সুজানগরে পেঁয়াজ বারি-৫ চাষের মাঠ দিবস

শেয়ার করুন:

এম এ আলিম রিপন,সুজানগরঃ পাবনায় গ্রীষ্মকালীন বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষে আশার আলো দেখছেন চাষীরা। দেশের পেঁয়াজের ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সিটিউট উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল বারি পেঁয়াজ-৫, যা সারা বছর চাষীরা আবাদ করতে পারবে।  এ জাতের পেঁয়াজ আবাদ করে সফল হয়েছে চাষী,তাই ভালো ফলনের পাশাপাশি অধিক লাভবান হওয়ার আশা চাষীদের। নতুন জাত হিসাবে চাষীদের মন কেরেছে এই জাতের পেঁয়াজ। এরই ধারাবাহিকতায় বছরব্যাপি পেঁয়াজ (বারি পেঁয়াজ-৫) উৎপাদনের লক্ষ্যে পাবনা সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া গ্রামে মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিএআরআই, শিবগঞ্জ, বগুড়া এবং বিশ^ ব্যাংক এর অর্থায়নে ” পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)” এর বাস্তবায়িত সাসটেইনেবল এন্টারপ্রইজ প্রজেক্ট এর আওতায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পাবনা প্রতিশ্রæতির বাস্তবায়িত পাবনা জেলায় বছরব্যাপি টেকসই পেঁয়াজ উৎপাদনমূলক উপ-প্রকল্পের উদ্যোগে বারি পেঁয়াজ-৫ এর বাল্ব (প্রদর্শনী) উৎপাদনের মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। পাবনা প্রতিশ্রæতির পরিচালক মো: মনির হোসেনের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ড: মো. মহিউদ্দিন, পরিচালক, ডাল গবেষনা কেন্দ্র এবং আঞ্চলিক কৃষি গবেষনা কেন্দ্র, বিএআরআই, পাবনা। বিশেষ অতিথি  ছিলেন ড: মো: খালেকুজ্জামান, প্রধান  বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিআরআই শিবগঞ্জ, বগুড়া, ড: মো: রবিউল আলম, বৈজ্ঞানিক প্রধান কর্মকর্তা, সরেজমিন গবেষণা বিভাগ,বিএআরআই, পাবনা, মো: রাফিউল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার, সুজানগর, ও মোহফিজার রহমান, প্রকল্প ব্যবস্থাপক, পাবনা প্রতিশ্রæতি। গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন পদ্ধতি ও ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে বক্তব্য প্রদান করেন ড: মো: নুর আলম চৌধুরী, সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বিআরআই শিবগঞ্জ, বগুড়া।   অনুষ্ঠানে  কৃষকেরা জানান, উক্ত জাতের পেঁয়াজে প্রতি শতকে ২.৫ থেকে ৩ মন পর্যন্ত ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এবং  পেঁয়াজের চারা লাগানো থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত সময় লেগেছে মাত্র ৮০ দিন। উৎপাদিত ৫ টি পেঁয়াজের ওজন হয় ৯৯০ গ্রাম (প্রায় ১ কেজি) এবং পাতা সহ ওজন হয় ১.৬ কেজি। প্রধান অতিথি  ড: মো: মহিউদ্দিন বলেন, বছরব্যাপি এই গ্রীস্মকালীন পেঁয়াজের জাতটি সম্প্রসারণের মাধ্যমে দেশের পেঁয়জের ঘাটতি অনেকটাই পূরন করা সম্ভব হবে। এজন্য প্রয়োজন কৃষি গবেষনা, কৃষি সম্প্রসারণ, বিএডিসি ও বেসরকারির সংস্থা সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা।  
পাবনা প্রতিশ্রæতির পরিচালক মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা আশাবাদি পরবর্তী বছর থেকে পাবনা জেলার সকল পেঁয়াজ চাষী সারা বছর বারি-৫ পেঁয়াজ চাষ করবে। তিনি পাবনা প্রতিশ্রæতির পক্ষ্য থেকে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন ও ধন্যবাদ জানান। মনির হোসেন বলেন মসলা গবেষনা বৈজ্ঞানিক কেন্দ্রের কর্মকর্তাগনের সহযোগিতা ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাগন যেভাবে সরাসরি মাঠে গিয়ে বারি-৫ পেঁয়াজ চাষে আমাদের কৃষকদের সহযোগিতা ও বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছেন যার ফলে বারি-৫ পেঁয়াজ চাষে আমরা পূর্নাঙ্গ সফল হয়েছি।