এম এ আলিম রিপন ঃ সুজানগর উপজেলায় ৭ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে আব্দুল কাদের(৪৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ভিকটিমকে উদ্ধার করে সোমবার ডাক্তারি পরীক্ষা ও জবানবন্দি রের্কড করার জন্য পাবনা আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত আব্দুল কাদের এর আগে একাধিক অপকর্ম করার কারণে গ্রামবাসী তাকে নিজ গ্রাম থেকে বিতাড়িত করে দিলে বিগত ৫ বছর ধরে সুজানগরের সাতবাড়ীয়া শ্বশুর বাড়ির এলাকায় এসে অবস্থান করছিলেন। তার নিজ গ্রামের বাড়ী আতাইকুলা থানার আড়িয়াডাঙ্গি গ্রামে। পিতার নাম মৃত লিয়াকত আলী। আব্দুল কাদের সুজানগর উপজেলা আ,লীগের সহ সভাপতি ও স্থানীয় সাতবাড়ীয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলমের আপন ছোট ভগ্নিপতি। মামলা সুত্রে জানা গেছে, রবিবার বেলা ১১টার দিকে শিশুটি সাতবাড়ীয়া বাজার থেকে নিজ বাড়ি যাবার পথে অভিযুক্ত আব্দুল কাদের বিস্কুট দেবার কথা বলে শিশুটিকে কৌশলে তার দোকানের ভিতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি চিৎকার দিয়ে কান্নাকাটি করলে এলাকাবাসী দোকানের শাটার খুলে শিশুটিকে উদ্ধার করলেও অভিযুক্ত কাদের পালিয়ে যায়। এর পরপরই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম ঘটনার মীমাংসার কথা বললেও মিমাংসা না করে অভিযুক্ত কাদেরকে পালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগ এনে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এলাকাবাসী ওই চেয়ারম্যানকে লাঞ্চিত করার পাশাপাশি তাকে ধাওয়া করলে সে দৌড়ে সাতবাড়ীয়া বাজারের শ্রী গৌড়াঙ্গের মিষ্টির দোকানে আশ্রয় নেয়। পরে পাবনা সহকারি পুলিশ সুপার(সুজানগর সার্কেল ) রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে সুজানগর থানা পুলিশ গিয়ে চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মিজানুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী শিশুটির পিতা রোববার রাতেই মামলা দায়ের করেছেন। এবং মামলার ভিত্তিতে আসামীকে ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া জনরোষ থেকে উদ্ধারের পর এদিন রাত ১২টার দিকে থানা থেকে ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল আলমকে তার নিজ বাড়িতে পৌছে দেওয়া হয়েছে।