ইছামনিউজটুয়েন্টিফোর.কম রিপোর্ট: পাবনার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের আন্ধারকোঠা গ্রামে বিয়ের দাবিতে ২৫ দিন যাবৎ প্রেমিকের বাড়ি অবস্থান করছেন কলেজ ছাত্রী। বিয়ে না করলে আত্ম হত্যার হুমকী দিয়েছে ওই মেয়ে।
আন্ধারকোঠা গ্রামে গিয়ে মৃত শুকুর আলীর বাড়িতে গিয়ে দেখা পাই কলেজ ছাত্রী রোজিনার(ছদ্ম নাম)। সে দুলাই জহুরুল কামাল ডিগ্রী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষেও ছাত্রী ও দুলাই ইউনিয়নে তার বাড়ি। সে জানান, গত আড়াই বছর পূর্বে আমাকে দেখতে গিয়ে পছন্দ করে এই গ্রামের শুকুরের ছেলে শাহীন ও তার দুলাভাই কাজেম। বিয়েতে তারা মটর বাইক দাবি করে। আমার পরিবার তাতে রাজি হলে ওই বাইকটি দুলাভাই নিবে জানালে বিয়ে ভেঙ্গে যায়। এর পর থেকে শাহীন আমার সাথে ফোনে কথা বলতে থাকে। সে আমাকে বিয়ে করার কথা বলে বিভিন্ন স্থানে বেড়াতে নিয়ে গেছে। এক পর্যায়ে শাহিন আমাকে ধর্ষণ করে তা ফোনে ধারণ করে।
পরবর্তিতে তার সাথে আমি যেতে রাজি না হলে সে ছবি নেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকী দেয়। গত ২৩ আগস্ট আমাকে বিয়ে করবে বলে শাহিন ও তার দুলাভাই (সুজানগরের বাড়ই পাড়া গ্রামের) কাজেম আমাকে আন্ধারকোঠা নিয়ে আসে। এখানে এনে তারা আমার নিকট যৌতুকের জন্য ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি তা দিতে না পারায় শাহিন বাড়ি থেকে কৌশলে পালিয়ে যায়। আমি তার বাড়িতে খেয়ে না খেয়ে ২৫ দিন অতিবাহিত করছি। আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোন উপায় থাকবেনা বলে কলেজ ছাত্রী জানান।
শাহিনের মা শাহিদা খাতুন জানা,খটনার পর থেকে আমার ছেলে ফোনে যোগাযোগ করছে না। আমি মেয়েটাকে নিয়ে বিপদে রয়েছি। ছেলে আমার কথা শোনে না এমন কি এখন যোগাযোগ করছে না।
দুলাই মডেল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহাজাহান জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। মেয়ের অভিভাবকরা আসলে তাদের সহযোগিতা করব।
Post Views: 14