প্রেসবিফিং সূত্রে জানাযায়, সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের গোসাই পাড়া গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে সেলিম হোসেন মোবাইল ফোনে উত্যক্ত করত উপজেলার বহলবাড়িয়া গ্রামের আল-আমিনের স্ত্রী শীলা খাতুন (২১) কে। এঘটনা শীলা তার স্বামীকে জানালে সে অটোচালক সেলিমকে হত্যা ও অটোবাইক ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ জুন বিকালে ফোন করে সেলিমের অটোবাইক রির্জাভ করে উপজেলার মাহমুদপুর থেকে গাড়ীতে উঠে খুনিরা।
রাত ৯ টার দিকে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের বহলবাড়িয়া কালুকাটা চকে এসে চালককে গাজা সেবন করান হত্যাকারীরা। এতে সেলিম নেশাগ্রস্ত হলে খুনিরা তাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও চাকু দিয়ে রগ কেটে হত্যা করে। পুলিশি তদন্ত ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১২ জুন ভোরে ঢাকার ধামরাইলের এক ইটভাটা থেকে প্রথমে সাঁথিয়ার বহলবাড়িয়া গ্রামের আবু সাইদ মোল্লার ছেলে রাসেল হোসেন (২২),সোলেমানের ছেলে রানা শেখ (২১) কে আটক করে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী একই দিনে বহলবাড়িয়া থেকে আল-আমিনের স্ত্রী শীলা খাতুন(১৮) ও ওয়াজেদ সরদারের ছেলে হোসেন আলীকে আটক করা হয়।
পরে আতাইকুলা বাজারের ভাংরির ব্যবসায়ী বৃহস্পতিপুর গ্রামের রায়হান উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ার হোসেনের নিকট থেকে অটোবাইক উদ্ধা ও তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ আটককৃতদের পাবনা বিজ্ঞ আদালতে হাজির করলে আসামীরা ১৬৪ ধারায় নিজেদের দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
গত ১০ জুন সকালে পাবনা-নগরবাড়ি মহাসড়কের সাঁথিয়ার বহলবাড়িয়া নামক স্থান সংলগ্ন কালুকাটা চকে সেলিমের লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। এব্যাপারে সেলিমের ভাই বাদী হয়ে ওই দিই সাঁথিয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৭। ঘটনার পর থেকেই থানা পুলিশ হত্যা কান্ডের রহস্য উন্মোচনের জোর চেষ্টা চালান।
সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দুকুল ইসলাম জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে অটোবাইক চালকের হত্যার ক্লু উৎঘাটনের সব ধরণের চেষ্টা চালানো হয়। এ মামলার ৫জন আসামী আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাঁকী আসামী আটকের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।