জানাযায়, বর্তমান সরকার গৃহহীনদের জন্য খাস জায়গায় গৃহ নির্মানের উদ্যোগ নেয়। যা ইতো মধ্যে সাঁথিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়নে চলমান রয়েছে। এরই ধারা বাহিকতায় পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা প্রাশাসন গৃহহীনদের জন্য ২০টি গৃহ নির্মানের জন্য ক্ষেতুপাড়া মৌজার উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের সামনে গহৃ নির্মান কাজ শুরু করেন। যা গত ২৯ নভেম্বর এক চিঠিতে দালান ভাঙ্গা ও গাছ কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সিভিল সার্জন পাবনা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে চিঠি দেন ক্ষেতুপাড়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা।
এলাকাবাসী ও জমি দানকারির আত্বীয় সূত্রে জানাযায়, এলাকার জনসাধারণের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে সি এস(ডিএস-১৪০) খতিয়ানের মালিক বাছের প্রামানিক বিট্রিশ আমলে(১৯২৬ সালে) উক্ত স্থানে একটি হাসপাতাল নির্মান করেন। যা পরবর্তিতে সরকারি করণ হলে এসএ আমলে জেলা বোর্ডের বরাবর হাসপাতালের নামে বাছের প্রাং নিজস্ব ২ একর তিন শতক জমি রেকর্ড করে দেন। আরএস জরিপ কালিন সময়ে ভ’লক্রমে জেলা প্রশাসক পাবনার নামে জমিটি ১নং খতিয়ানে রেকর্ড হয়। এ সুবাধা হাসপাতালের জায়গায় গুচ্ছ গ্রাম নির্মান করতে থাকেন সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার। পরে পাবনা জেলা জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন বাছের প্রামানিকের নাতি বাবু প্রামানিক। যার নং ১৯৮/২১ইং।
এদিকে এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ একাধিক স্থানে হাসপাতালের জমি রক্ষায় লিখিত অভিযোগ করেন রফিকুল ইসলাম। অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার সকালে প্রকল্প এলাকা তদন্তে আসেন সিনিয়র সচিব ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান। এসময় স্থানীয়রা হাসপাতালের জমি রক্ষায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেন।
জমি দানকারির আত্বীয়র ইউনুস মুহুরী জানান,গৃহ নির্মান কাজে বাধা দিলে তিনি আমাকে ভয় ভীতি দেখান। এমন কি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদসহ মামলার বিবাদাগণকে আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রধান করেন। তারা নিষেধাজ্ঞার পরেও তা অমান্য করে গৃহ নির্মান কাজ করছে। আমরা এলাকাবাসীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে হাসপাতালের জায়গা দখলমুক্ত চাই।
সাঁথিয়া উপজেলা প.প কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বৈশাখী জানান, আমি সিভিল সার্জনসহ বিভিন্ন স্থানে জমি রক্ষায় চিঠি দিয়েছি। যেখানে গৃহ নির্মান করা হচ্ছে সেখানে হাসপাতালের পুরাতন ভবন ও গাছ ছিল।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, আদালতের কোন নোটিশ আমি আগে পাইনি। দুই এক দিন আগে ওই নোটিশটি পেয়েছে। এর আগে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। যারা অভিযোগকারী তারা কেউই এ জমির সত্ত¡বান না।
সিনিয়র সচিব ও অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, খাস জমির মালি জেলা প্রশাসক। আমরা সরকারের নির্দেশে খাস জমিতে গৃহহীনদের গৃহ নির্মান করি। অভিযোগের বিষয়ে আমি আসি ও দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিষয়টি মন্ত্রণালয়ে লিখিত ভাবে জানাবো।