রায়হান প্রামাণিক জানান, মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হলের সামনে দোকানে বসে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। তার (রায়হান) খাওয়া একটু তাড়াতাড়ি শেষ হয়। খাওয়া শেষে মোটরসাইকেল নিয়ে একবার হবিবুর রহমান মাঠের পাশ থেকে ঘুরে আসেন। পরে হিমেলের খাওয়া শেষ হলে দুই জনে মিলে মেইন গেটের বুথে টাকা ওঠানোর জন্য যাওয়ার প্রস্তুতি নেন তারা।
রায়হান প্রামাণিক জানান, মোটরসাইকেল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের দিকে বুথে টাকা তোলার জন্য রওনা দেন তিনি। গাড়ি চালাচ্ছিলেন বন্ধু হিমেল। মোটরসাইকেল স্টার্ট দিয়ে সামনের রাস্তা ধরে প্রধান ফটকের দিকে যাওয়া শুরু করেন তারা। তবে জিয়া হল ও হবিবুর রহমান হলের মাঝখানের সেই রাস্তার পাশে দিয়ে আসা ট্রাকটিকে দেখতে পেরে তারা একটু থামেন। কিন্তু ট্রাকটি হঠাৎ পাশ থেকে টার্ন নিয়েই তাদের ওপর তুলে দেয়। ফলে তিনি (রায়হান) পাশে ছিটকে পড়ে যান। আর ট্রাকটি মোটরসাইকেলসহ হিমেলের ওপর দিয়ে চলে যায়। ভেঙে চুরমার হয়ে যায় পুরো মোটরসাইকেল। এসময় হিমেলের দেহ থেকে মাথা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।
ট্রাকচালক সতর্ক থাকলে এই দুর্ঘটনাটি ঘটতো না বলে দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রায়হান প্রামাণিক।
এদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, এটা দুর্ঘটনা নয়, হত্যাকাণ্ড। এর সঙ্গে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া জন্য প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার কথা জানান তিনি।
এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা প্রক্টরিয়াল বডির প্রত্যাহারের দাবির পাশাপাশি ৬ দফা দাবি জানালে সব দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল বডি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন উপাচার্য।