এম এ আলিম রিপন ঃ সুজানগরের একমাত্র সরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটার(ওটি) থাকলেও দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে জনবলের অভাবে তা চালু হয়নি । এতে দুর্ভোগে পড়েছেন রোগীরা। সার্জারি,গাইনি ও অ্যানেসথেসিয়ার জুনিয়র কনসালটেন্ট না থাকায় নষ্ট হচ্ছে অপারেশন থিয়েটারের যন্ত্রপাতি। এছাড়া রোগীদের সুবিধার জন্য একটি মাত্র অ্যানালগ এক্সরে মেশিন থাকলেও কয়েক বছর ধরে সেটিও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। যার ফলে রোগীদের বেসরকারি বিভিন্ন ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচ করে এক্সরে করাতে হচ্ছে। পাশাপাশি চিকিৎসক ও নার্স স্বল্পতার কারণে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা হচ্ছে ব্যাহত । স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সুত্রে জানা যায়,সরকারি এ হাসপাতালে বর্তমানে ১৪ জন চিকিৎসকের পদ শূন্য রয়েছে । ২০০২ সালে এ উপজেলার প্রায় ৪ লক্ষ ৯৫ হাজার মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষে ৩১ শয্যার কমপ্লেক্স থেকে ৫১ শয্যায় উন্নিত করা হয়। সে সময় প্রায় ২ কোটি নব্বই লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয় দ্বিতল বিশিষ্ট নতুন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন। সেই অনুযায়ী ৫১ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিপরীতে সৃষ্টি করা হয় গাইনি, অর্থপেডিক্স, ডেন্টাল সার্জন, চক্ষু বিশেষজ্ঞ সহ বিভিন্ন চিকিৎসা বিষয়ে ৩০ জন ডাক্তারের পদ। কিন্তু বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা সহ ১৬ জন চিকিৎসক কর্মরত রয়েছেন। গাইনি সহ ৯জন বিশেষজ্ঞ থাকার কথা থাকলেও নেই একজনও। এছাড়া ডেন্টাল ইউনিট না থাকার কারণে এখানে কর্মরত ডেন্টাল টেকনোলজিস্ট কোন কাজ করতে পারছে না। যার ফলে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না রুগীরা । সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ হাবিবুর রহমান হাসপাতালের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন জনবল সংকটের মধ্যেও সীমিত জনবল দিয়ে সর্বাত্মক চিকিৎসা সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । সেবা ছাড়া কেউ ফিরে যান না।