৬ই নভেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২১শে কার্তিক, ১৪৩২🔻 ১৪ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

আটঘরিয়া পৌরসভার দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু

শেয়ার করুন:

আটঘরিয়া পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম রতন ও হিসাব রক্ষক কাজী নাজমুল হোসেন: ফাইল ছবিপাবনার আটঘরিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শহিদুল ইসলাম রতন ও হিসাব রক্ষক কাজী নাজমুল হোসেনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে পাবনা জেলা সমন্বিত দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যালয় থেকে অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এ বিষয়ে দুদকের উপ-সহকারী পরিদর্শক মো. মনোয়ার হোসেনের স্বাক্ষরিত ১৩৬৫ নম্বর স্মারকে (তারিখ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫) পৌর প্রশাসকের কাছে একটি পত্র পাঠানো হয়েছে।

পত্রে বলা হয়, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ক্ষমতার অপব্যবহার ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য ২০১৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত পৌরসভার এডিপি ও গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের রেকর্ডপত্র, প্রকল্পভিত্তিক তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট আর্থিক নথি দাখিল করতে হবে।

এছাড়া, সাতটি বিষয়ে বিস্তারিত নথি ও তথ্য চাওয়া হয়েছে—

১. করোনা মহামারির সময় সুরক্ষা ও মশক নিধন খাতে ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য।

২. ২০২০-২১ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত এডিপির আওতায় বাস্তবায়িত প্রকল্পের তথ্য।

৩. জ্বালানি খাতে ব্যয়ের হিসাব।

৪. গাড়ির লকবই ও বিল-ভাউচার সংক্রান্ত রেকর্ড।

৫. ২০১৬-১৭ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের তথ্য।

৬. জলবায়ু পরিবেশ ট্রাস্ট ফান্ড ও নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আর্থিক নথি।

৭. ২০২২ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রত্যয়নপত্র ও পুলিশ ভেরিফিকেশন তথ্য।

দুদক ১৫ অক্টোবর ২০২৫ তারিখের মধ্যে এসব তথ্য ও প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্তদের কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা না গেলেও তাদের ঘনিষ্ঠ একাধিক সমর্থক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম রতন নিয়ম-নীতি মেনেই কাজ করেছেন। তারা দাবি করেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের শত্রুতার কারণেই এসব অভিযোগ আনা হতে পারে।