১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ১৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

আটঘরিয়ায় ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত কামাররা

শেয়ার করুন:

 

আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস সংক্রমনে সমাজিক দুরত্ব বাজায় রেখে পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কামাররা। দা, ছুরি, চাকু চাপাতি বটি তৈরি এবং শান দিতে ও মেরামত করতে ব্যস্ত কামাররা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তারা কাজ করছে। এবার চলমান করোনা ভাইরাস সংক্রমনে এ কাজের চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেকেই এ-পেশা ছেড়ে দিয়েছেন। 

সরজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দেবোত্তর, খিদিরপুরপুর, পারখিদিরপুর, চাঁদভা, একদন্ত বাজারের কামাররা দা, ছুরি, চাকু তেরি শান ও নতুন পুরাতন মেরামত করতে এক সময় ব্যাপক ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। অনেকেই আবার বাড়ীতে বসে দা, ছুরি. চাকু, বটি সহ লোহার রড সঞ্জম তৈরি করে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

খিদিরপুর কলেজ রোড এলাকার অপর্ণ কুমার সেন ্এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের কারণে লৌহা, কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় তেমন কাজ নেই বললেই চলে। ঈদ ছাড়া অন্য সময়ে আমাদের তেমন কোন কাজ থাকে না। ৪৫ থেকে ৫০ বছরের পৈতিক সূত্রে পাওয়া এ পেশা এখন ধরে রাখতে খুব কষ্ট হচ্ছে। ছোট বড় থেকে শুরু করে বড় জবাহ করা ছুরি ১২০০ টাকা, ছোট ছুরি ২০০ টাকা, চাপ্পর ১০০০ টাকা, পুরাতর চাকু ১৫০/২০০ টাকা, বটি ৫০/৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। তবে গুনগতমানের উপর মজুরি নেয়া হয়। 

মাজপাড়া থেকে আসা আব্দুল খালেক হোসেন জানান, কোরবানীর পশু জবাহ করা মাংস কাটা ও চামরা ছিলনোর জন্য ধারালো ছুরি প্রয়োজন। ঘরে থাকা দা, বটি  ছুরিতে মরিচা থাকলে শানের জন্য নিয়ে এসেছি। তবে এদিকে ঈদকে সামনে রেখে  উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মৌসুমী কামারদের দেখা মিলছে প্রচুর। কিন্তু এখন আর চোখে দেখা মেলে না। আমি দা, ছুরি চাকু, তৈরি শান ও মেরামত করতে এসেছি। তবে বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারনে কামারদের এখন অবস্থা খুব খারাপ। অনেকেই উপায় না পেয়ে এ-পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় কাজ করছেন।   

স্বপন কুমার, কুশি কর্মকার, নিমাই চন্দ্র জানান, করোনা ভাইরাসে দোকানপাট বন্ধ থাকার কারণে কয়লা, লৌহা ও ইষ্পাতের দামও দিগুন বৃদ্ধি পাওয়ায় চরম সংকটে ভূগতে হচ্ছে আমাদের। তবে প্রতিবছর এই ঈদকে সামনে নিয়ে আমাদের অনেক আশা থাকে সারা বছরের কামাই অর্জন করব। কিন্তু এই পরিস্থিতির কারনে কাজ না থাকায় বসে থাকতে হচ্ছে। তবে প্রশাসন আমাদের প্রতি একটু নজর দিলে আমরা স্ব-পরিবারে চলতে পারব বলে মনে করছেন তারা।