ব্যাপারি ইমরান হোসেন, আব্দুল আলিম, আব্দুল রাজ্জাক, কাসেম নজরুল বলেন, আমরা প্রতিদিন ভোরে মাজপাড়া এলাকার বিভিন্ন স্থানে শিমের আড়ৎ বসিয়ে এলাকার কৃষকের কাছ থেকে অটোশিম, রুপবান শিম সহ নানা জাতের শিম ক্রয় করছি। প্রতি কেজি শিম আমাদেরকে কিনতে হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এতে প্রতিমণ শিম ৪ হাজার থেকে ৩৮শ টাকায় কিনতে হয়। এই শিম আমরা দেশের বিভিন্ন বাজারে ট্রাক বোঝাই করে বাজারজাত করছি। সব খরচবাদে আমাদের ভালো একটা লাভ থেকে যায়।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার সজীব আল মারুফ বলেন, অটোশিম মুলত শীতকালীন সবজি। তবে এখন সারাবছর এর চাষাবাদ হচ্ছে। আটঘরিয়া উপজেলায় বর্তমানে পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌর সভায় ১৫২০ হেক্টর জমিতে শিমের আবাদ হয়েছে। ১৭০৭ হেক্টর জমিতে গত বছর শিমের আবাদ করা হয়েছে। লক্ষ্যমাত্র ধরা হয়েছে ১৬৫০ হেক্টর। তবে এই উপজেলার অধিকাংশ কৃষক শিম আবাদের সাথে অতপর ভাবে জড়িত।
শিম উৎপাদন বৃদ্ধি করতে উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে সব সময় কৃষকদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। ভালোভাবে বর্ষা মৌসুমে অটোশিম ও রুপবানশিম, চকলেট শিমের বীজ সংগ্রহ করতে পারলে আগামীতে এজাতীয় শিমের চাষ আরো বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, অটো ও রুপবান শিম চাষে খরচ তুলনামূলক ভাবে বেশি হলেও এ-শিমের বাজার দরও বেশি। ফলে কৃষকরাও অটোশিমে চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে।







