গত ২৯ মে বিকালে রুহুল তার স্ত্রী দেলোয়ারাকে দাওয়াত খেতে যাবে বলে বের হন। এটাই ছিল ন্ত্রীর সাথে শেষ কথা। ওই দিন রাত নয়টার দিকে রুহুল ও তার চাচা আবু সাইদ বাড়ীর পাশে চায়ের দোকানে চা খেয়ে আসার সময় এলাকার চিহৃত সন্ত্রাসীরা রুহুলকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে।এসময় চাচা আবু সাইয়িদ এগিয়ে গেলে তাকেও কুপিয়ে জখম করে। আবু সাইয়িদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা বীরদপর্ণে চলে যায়।
এ ঘটনায় রুহুলের পিতা আকমল হোসেন বাদী হয়ে শাজাহানসহ ১১ জনের নাম উল্লেখসহ আতাইকুলা থানায় মামলা দায়ের করে। যার নং ১৯ তাং ৩১/০৫/২০২২।
সাইয়িদের স্ত্রী রুবি খাতুন বলেন, স্বরভবানীপুর গ্রামের মৃত তোয়াজ আলীর ছেলে শাহজাহানের সাথে আমার স্বামী ও ভাসুরের ছেলে রুহুল আমিন সামাজিক কর্মকান্ড এক সাথেই চলাফেরা করত। গত বছর স্বরগ্রাম দাখিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটি গঠন করার সময় আমার স্বামী ও শাহজাহান সভাপতি পদে প্রার্থীতা ঘোষণা করে। এ নিয়ে শাহাজাহানের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সে থেকে শাহজাহান আলী তার সস্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ভয়ভীতি দেখান ।
রুহুল আমিনের পিতা আকমল সাংবাদিকদের দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পরেন। তিনি বলেন, আমি কি পাব না ছেলে হত্যার বিচার? আজ ১৫ দিন পার হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের গ্রেপ্তার করছে না আইন শৃংখলা বাহিনী। তিনি ক্ষোভে বলেন, দেশে কোন শক্তি নাই যে শাহাজাহানের বিচার করে। সে আধিপত্য দেখাতে এলাকায় নানা অপকর্ম করছে। আসামীরা গ্রেফতার না হওয়ায় আমার পরিবার আতংকে রয়েছে।
আহত আবু সাইয়িদ বলেন, এলাকার চিহিৃত সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুেেড় বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের গ্র্রেপ্তার না করায় প্রাণ ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তিনি আরো বলেন, প্রভাবশালী শাহাজাহান এলাকায় সন্ত্রাসীদের লালন পালন করে। সে এলাকায় একচ্ছত্র আধিপাত্য বিস্তার করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না।
হত্যাকান্ডের মাত্র ৯ দিনে মামলা সিআইডি তে যাওয়ায় ও আসামী গ্রেপ্তার না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার আতংকে রয়েছে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে সাইয়িদসহ পরিবারের অনেকেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
শাহাজাহানের ০১৭১২-২৪৩৬৮৭ মোবাইল নম্বরে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা( ওসি) জালাল উদ্দিন বলেন, হত্যার পর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করি। থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি সিআইডি তদন্ত করছে।
.jpg)
.jpg)







