৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২২শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ১৫ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

ইউরোপীয় ইউনিয়নের ওপর ক্ষুব্ধ ইরান

শেয়ার করুন:

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা জিসিসির হস্তক্ষেপমূলক যৌথ বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ হয়েছে ইরান। এর প্রতিক্রিয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে তেহরানে নিযুক্ত ইইউর সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূতদের তলব করেছে তারা।

উপসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের মালিকানা নিয়ে বিতর্ক, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি এবং দেশটির শান্তিপূর্ণ পরমাণু কার্যক্রম নিয়ে ইইউ-জিসিসির ‘হস্তক্ষেপমূলক’ মন্তব্যের বিরুদ্ধেই এই কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে তেহরান। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে নিজেদের সামরিক ও আঞ্চলিক নীতির প্রতি কঠোর অবস্থান স্পষ্ট করেছে আয়াতুল্লাহ খামেনির দেশ।

দেশটির উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ তাখত-রাভাঞ্চি কুয়েতে অনুষ্ঠিত ইইউ-জিসিসি শীর্ষ সম্মেলনের ঘোষণাপত্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করেন, হরমুজ প্রণালির কাছে অবস্থিত গ্রেটার টম্ব, লেসার টম্ব এবং আবু মুসা দ্বীপপুঞ্জ ইরানের ‘অবিচ্ছেদ্য অংশ’ এবং এর সার্বভৌমত্ব ‘পরম ও স্থায়ী’। তিনি অভিযোগ করেন, ইইউ সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘ভিত্তিহীন দাবির’ প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্বের নীতি লঙ্ঘন করেছে।

তাখত-রাভাঞ্চি ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে মন্তব্যকে ‘দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে স্পষ্ট হস্তক্ষেপ’ বলেও আখ্যায়িত করেছেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, এই দেশীয় প্রতিরক্ষামূলক ক্ষমতা তাদের আত্মরক্ষার সহজাত অধিকারের অংশ এবং এটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয়। এছাড়া, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তির সাক্ষরকারী তিন ইউরোপীয় দেশ ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির তীব্র সমালোচনা করেছেন তিনি। ইরানি এই কর্মকর্তা বলেন, তাদের এই ধ্বংসাত্মক আচরণই পরমাণু চুক্তির ‘কূটনীতিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি করেছে’।