ইলন মাস্ক নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন — “America Party”, যার উদ্দেশ্য হলো “ডেমোক্র্যাট–রিপাবলিকান ইউনিপার্টির” বিরুদ্ধে মধ্যমপন্থীদের আধিকার নিশ্চিত করে দেশকে ‘স্বাধীনতা ফিরিয়ে’ দেওয়া।
গত ৪ জুলাই মাস্কের নিজের X (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে ১.২৫ মিলিয়ন ভোটের মধ্যে ৬৫%+ মানুষ দুই-মুখী ক্ষমতা ব্যবস্থার বাইরে যেতে চান বলে জানালে, তিনি জানান “America Party” গঠন সম্পন্ন হয়েছে । মূল লক্ষ্য নির্দিষ্ট সংবিধান-নারীর প্রতি নয়, বরং “২–৩ সিনেট ও ৮–১০ হাউস আসন” গ্রাস করে প্রভাব বিস্তার করা, কমিটিগুলোর সংকটজনক আইন প্রণয়নে নিষ্প্রভতা অনিবার্য ।
মূল প্রস্তাবনা হিসেবে তিনি দারিদ্র্য, রাজস্ব অপচয় ও নির্বাহী কর্তৃত্বে কাটছাঁটের প্রতিশ্রুতি দেন; তবে পূর্ণ একটি রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম এখনও প্রকাশ করেন নি ।
মাস্কের রাজনীতি-প্রবৃত্তিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন লক্ষ করা গেছে। একদিকে তিনি বৃহৎ অর্থায়ন করেছেন ট্রাম্পের ২০২৪ নির্বাচনে—খরচরেক দেশী ও বৈদেশিক মুদ্রায় প্রায় $২৭০ মিলিয়ন । অন্য দিকে, সদ্য পাশ হওয়া “Big, Beautiful Bill” নামে উপাধিযুক্ত $৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট–কর বিলের বিরোধিতায় এই সিদ্ধান্ত নেন
অপরদিকে প্রফেশনাল ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কোনো রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করা আইনি ও সাংবিধানিকভাবে কঠিন। প্রতিটি রাজ্যে প্রার্থীদের নির্বাচন-বৈধতার জন্য স্বাক্ষর সংগ্রহ, ভোটার নিবন্ধন, নির্বাচন সংগ্রহ বা মিনিমাম ভোট আদায়ের মতো জটিল নিয়ম রয়েছে । প্রায়শই শত শত লাখ ডলারের বাজেট, নির্বাচনী বিচ্ছিন্নতা ও আইনি জটিলতা মোকাবিলা করতে হয় ।
ফলে অনেকে প্রশ্ন তুলছেন: মাস্কের এই উদ্যোগ আদৌ ভারসাম্যপূর্ণ ভাবে দীগন্ত খুলতে পারে কি না? এলামোহাম্মদ মাস্কের নাম, সম্পদ, প্রভুতার কারণে এই প্রচেষ্টা সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় এসেছে — তবুও রাজনৈতিক ইতিহাসে তৃতীয়-পক্ষের উদ্যম প্রায় কখনো সফল হয়নি। তবে আইনের পরিবর্তনের ডাক এবং বর্তমান দ্বিরাষ্ট্রীয় বিভাজনার মধ্যে ফাঁক তৈরি হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না ।







