বালুমহালের কর্তৃত্ব ও বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে পাবনার ঈশ্বরদীতে দুপক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে এক স্পিডবোট চালক আহত হয়েছেন। এ সময় প্রতিপক্ষ আহত চালকের স্পিডবোটটি ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) উপজেলার ইসলামপাড়া ঘাট, আরামবাড়িয়া, গৌরীপুর ও বিলমাড়িয়া এলাকার পদ্মা নদী ও এর তীরবর্তী এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
আহত স্পিডবোট চালকের নাম সালমান হোসেন (৩৮)। তাঁকে বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের ভাষ্য, পদ্মা নদীর ঈশ্বরদী, কুষ্টিয়া ও নাটোরের লালপুর প্রান্তে বালুমহাল রয়েছে। এসব এলাকায় বালুর ব্যবসা নিয়ে লালপুরের যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম ও কাঁকনের সঙ্গে ঈশ্বরদী উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সুলতান আলী বিশ্বাস টনি ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সদস্য সচিব মেহেদী হাসানের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বালু ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে গত চার-পাঁচ মাসের মধ্যে বেশ কয়েকবার গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার টনি ও মেহেদী পক্ষের একটি ভাড়া করা স্পিডবোট পদ্মা নদীতে টহল দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষ স্পিডবোট লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এতে চালক গুলিবিদ্ধ হন। তিনি তৎক্ষণাৎ নদীতীরে স্পিডবোট থামালে প্রতিপক্ষ সেটি ছিনিয়ে নেয়। স্থানীয়রা স্পিডবোট চালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠান।
গুলিবিদ্ধ সালমান জানান, তিনি ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের ইসলামপাড়া ঘাট থেকে আরামবাড়িয়া যান। সেখান থেকে বিলমাড়িয়া যাওয়ার পথে আচমকা গুলির শব্দ শুনতে পান। এ সময় পেছন থেকে আরেকটি স্পিডবোট থেকে গুলিবর্ষণ করতে করতে তাঁকে ধাওয়া করে। তিনি গৌরীপুর এলাকায় পৌঁছালে তাঁর পিঠে গুলি লাগে। তিনি প্রাণ বাঁচাতে নদীতীরে স্পিডবোট থামালে প্রতিপক্ষের লোকজন স্পিডবোটটি ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
এদিকে নদীতে গোলাগুলি ও স্পিডবোট ধাওয়া নিয়ে ড্রোনের মাধ্যমে ধারণ করা একটি ভিডিওচিত্র সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
ঈশ্বরদীর বালু ব্যবসায়ী ও তরীমহল ঘাটের ইজারাদার মেহেদী হাসান বলেন, শহীদুল ও কাঁকন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা নদী থেকে তাদের একটি স্পিডবোট ছিনতাই করে নিয়ে গেছে। এ সময় স্পিডবোটের চালক গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে লালপুরের যুবলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম ও কাঁকনের ব্যক্তিগত নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ. স. ম. আব্দুন নূর বলেন, গোলাগুলির খবর পেয়ে নৌ পুলিশ ও থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ পদ্মা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে মোতায়েন করা হয়েছে।







