ইছামতিনিউজ২৪.কম:-
পাবনার সুজানগর উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার ও দুলাই ক্লাস্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিধান চন্দ্র ঘোষ। তিনি তার ক্লাস্টারের মানউন্নয়নে অতুলনীয় অপ্রতিরোধ্য হিসেবে কাজ করছে দক্ষতার সহিত। করোনাকালিন বন্ধ শিক্ষা ব্যবস্থাকে গতিশীল করতে নিষ্ঠার সাথে শিক্ষকদের সাথে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি একজন অভিজ্ঞ, বন্ধুসুলোভ, রুচিশীল নান্দনিক মনের মানুষ। দুলাই ক্লাস্টারের দায়িত্বগ্রহণ করে কম সময়ে ২১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয় করেছেন। যা কচিকাঁচা শিশুদের মন কেঁড়েছে। তুলির আঁচরের রংয়ের মত শিশুদের ভিতরে নতুন স্বপ্ন অংকন করেছে। আনন্দঘন পরিবেশে শিক্ষা গ্রহণে বিদ্যালয়ে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। শিক্ষাকে আনন্দে পরিণত করতে বিদ্যালয়ে তৈরি করা হয়েছে বাগান, মজিব কর্ণার ও দেয়ালে অংকন করা হয়েছে বাংলাদেশেরে প্রকৃতির বিভিন্ন দৃশ্য। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষকদের স্কুল মুখী করতে নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। শিক্ষকদের সাথে সু-সম্পর্ক রেখে সহযোগিতা মূলক মনোভাব নিয়ে কাজের দিকনির্দেশনা দিয়ে আসছে। চলতি করোনা মহামারির মধ্যেও ঝুকি নিয়ে দেখাশোনা করে যাচ্ছেন বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিধান চন্দ্র ঘোষ শিক্ষকদের সাথে ২০২০/২১ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি করেছেন অনলাইন ভার্চুয়াল সভা পরিচালনা করে । আলাদা ক্ষুদেবার্তা বিভাগ তৈরি করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাবলি ও তথ্য লেনদেন করে আসছে।
করোনাকালিন সময়ে শিক্ষার্থীদের “ঘরে বসে শিখি” পাঠদান কার্যক্রম বাংলাদেশ সংসদ টেলিভিশন ও এফএম রেডিওতে দেখতে ও শুনতে শিক্ষার্থীদের ও অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষকদের সাথে সমন্বয় করে আসছেন। প্রতিদিন পাঁচজন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের সাথে শিক্ষার মান নিয়ে মোবাইল ফোনে কথা বলে থাকেন বিধান ঘোষ। তার চেষ্ট ও দক্ষতায় হারিয়ে যাওয়া প্রাথমিকের গৌরব ফিরতে বসেছে। আগে অভিভাবক বলত লেখা পড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হয় না। কিন্তু সে কথা থেকে যেন ফিরে এসেছে দুলাই ক্লাস্টার। তার প্রচেষ্টায় এ ক্লাস্টারের দুলাই, চরগোবিন্দপুর, দূর্গাপুর, চিনাখড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার ফলাফল উপজেলার মধ্যে আলোচিত। অন্য সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মানহীন শিক্ষা থেকে বের হয়ে প্রতিযোগিতা মূলক শিক্ষার মিছিলে যোগ দিয়েছে। এ এলাকার অভিভাবক, সুধীজন বিধান ঘোষের দক্ষতা ও পরিশ্রমের প্রশংসা করে থাকেন।
তাকে অনেকেই বলে থাকেন প্রকৃতি প্রেমিক। তার ফেসবুক পেজে অসংখ্য প্রকৃতির সুন্দর অপরুপ ছবিতে ভরপুর। তিনি বিদ্যালয় পরিদর্শনে গেলে সেই এলাকার ঐতিহ্য ও ঐতিহাসিক স্থান ও স্থাপনার ছবি ক্যামেরা বন্ধী করবেই। নিজ উপজেলা ছাড়াও বিধান ঘোষ অন্য উপজেলা ও জেলায় সৌন্দায্য উপভোগ করতে ছুটি যান দুর দুরান্তে।
Post Views: 37










