‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বিদেশ থেকে দল এনে কিংবা বিদেশি খেলোয়াড় এনে লোক দেখানো উন্নতি করার কোনো মানে হয় না। দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রতিযোগিতা, পারিশ্রমিক ও খেলা বাড়ান, তাহলে উন্নতি সম্ভব’– বলেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ক্রিকেটার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) লংগার ভার্সনে বিদেশি দল এবং জাতীয় ক্রিকেট লিগে (এনসিএল) বিদেশি খেলোয়াড় আনার ঘোর বিরোধী ক্রিকেটাররা। বুধবার মিরপুর একাডেমি ভবনে প্রায় ৪০ জন ক্রিকেটার বিসিবির এই সিদ্ধান্ত কিভাবে আটকানো যায়, এ নিয়ে আলোচনা করেছেন।
তবে বিসিবি এবং সাবেক ক্রিকেটাররা মনে করছেন, এটা ক্রিকেটারদের উন্নতির জন্য ভালো সিদ্ধান্ত।এক ক্রিকেটারের ধারণা, বিসিবি এই সিদ্ধান্ত নিলে তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে। যুগান্তরকে তিনি বলেন, ‘বিসিবি এমন সিদ্ধান্ত নিলে আমাদের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ কমে যাবে। সুযোগ কমলে রুট লেভেল থেকে আগ্রহও কমবে। তাতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এ দেশের ক্রিকেটে।’বিসিবি শ্রীলংকা কিংবা আফগানিস্তানের এ-দল বিসিএলে খেলানোর চেষ্টা করছে।
বাংলাদেশ জাতীয় দলের টপঅর্ডারের এক সময়ের আক্রমণাত্মক এক ব্যাটার বলেন, ‘ঢাকা লিগে এক সময় ডি সিলভা, সাঙ্গাকারার মতো ক্রিকেটাররা খেলেছেন। তাদের মতো ক্রিকেটারদের আনতে পারলে আমাদের কোনো অভিযোগ নেই। আমরা কিছু শিখতে পারব। কিন্তু যাদের আনা হবে, তাদের অধিকাংশই হয় কমিশন খেয়ে, না হলে নিজেদের পছন্দের! জাতীয় দলে খেলাই তো নিশ্চিত করতে পারে না তারা।’
বিসিবির পরিচালক ও টুর্নামেন্ট কমিটির সভাপতি আকরাম খান বলেছিলেন, ‘টুর্নামেন্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে বিদেশি দল ও খেলোয়াড় আনার পরিকল্পনা নিয়েছে বিসিবি।’ বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার বলেন, ‘বিসিবি যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয়, তাতে আমি খারাপ কিছু দেখি না। সবদিক মিলিয়ে হয়তো ভালো কিছুই হবে।’







