গাজায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির এ হামলায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের শীর্ষস্থানীয় এক সামরিক কমান্ডার নিহত হয়েছেন।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) ও নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেতের যৌথ বিবৃতিতে জানানো হয়, গাজা শহরে হামাসের সামরিক শাখা কাসেম ব্রিগেডসের অস্ত্র উৎপাদন বিভাগের প্রধান রায়েদ সাদকে ‘নির্মূল’ করা হয়েছে।
ইসরায়েল জানিয়েচে, রায়েদ সাদ কাসেম ব্রিগেডসের অন্যতম প্রভাবশালী কমান্ডার ছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা শহরের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলি জনপদে চালানো হামলায় একাধিক ব্রিগেডের নেতৃত্ব দেন।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বিবিসিকে জানান, ওই হামলায় অন্তত চারজন নিহত হয়েছেন এবং বিস্ফোরণে পথচারীসহ আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।
গাজায় হামাসের এক স্থানীয় কর্মকর্তা জানান, হামলায় রায়েদ সাদের এক সহকারী এবং আবু ইমাদ আল-লাবান নামে আরেকজন নিম্নপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিধিনিষেধের কারণে গাজার ভেতর থেকে স্বাধীনভাবে এ ঘটনার বিস্তারিত যাচাই করা সম্ভব হয়নি।
আইডিএফ ও শিন বেতের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় বিস্ফোরক যন্ত্রের মাধ্যমে বহু ইসরায়েলি সেনা নিহত হওয়ার জন্য রায়েদ সাদ দায়ী ছিলেন। তিনি অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর গঠিত হামাসের পাঁচ সদস্যের নতুন সামরিক নেতৃত্ব পরিষদের সদস্য ছিলেন বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েল এর আগেও একাধিকবার রায়েদ সাদকে হত্যার চেষ্টা করেছে। ২০২৪ সালের মার্চে গাজা শহরে চালানো এক আকস্মিক অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার বা হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তখন সূত্রগুলো জানায়, লক্ষ্যবস্তু ভবনে উপস্থিত থাকলেও অভিযান শুরুর ঠিক আগে তিনি পালিয়ে যান। দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ইসরায়েলের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হামাস নেতাদের তালিকায় ছিলেন।







