স্থানীয় সূত্র জানায়,রবিবার বিকালে অভিযুক্তরা হান্ডিয়াল বাঘলবাড়ি কৈ এলাকার বাসিন্দা ছুরমান আলী ও তার শ্যালকের কাছে নিজেদের দাবি করা টাকার লেনদেন নিয়ে জনরোষে পড়ে ও লাঞ্ছিত হয়। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হান্ডিয়াল পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ।
এলাকাবাসী ও থানায় দায়ের করা এজাহারের ভাষ্যানুযায়ী,ছুরমান আলী তার বাড়ি তৈরির জন্য মাটি কাটছিলেন তার শ্বশুরের সম্পত্তি থেকে। মাটি কাটছিলেন এস্কেভেটর (ভেকু মেশিন) দিয়ে। মাটি কাটার কাজ চলমান রাখতে চাইলে ছুরমান আলীর শ্যালকের কাছে ১৫ হাজার টাকা চায় অভিযুক্ত দুই সাংবাদিক। অন্যথায় প্রশাসনকে দিয়ে মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ার ভয় দেখায়,কারণ হিসাবে জানায় ভেকু দিয়ে মাটি করা সরকারিভাবে নিষেধ। তাদের আস্ফালনে ছুরমানের শ্যালক ৪ হাজার টাকা দেয়। আরও ৬ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য ১৩ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করে দেয় অভিযুক্তরা। এ ঘটনা গত ১১ মার্চের। পূর্ব নির্ধারিত দিনে ওই দুই সাংবাদিক অবশিষ্ট টাকা আনতে সেখানে আবারও যায়। ছুরমানের শ্যালক টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে তারা মাটি কাটা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ সময় স্থানীয়দের রোষে পড়েন তারা। উত্তম মাধ্যম দিয়ে আটকে রাখা হয় একটি ঘরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয় দু’জনকে।
চাটমোহর থানা অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানান,লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পরে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে দ্রæত বিচার আইনে মামলা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ছুরমান আলীর শ্যালক সোনাবুল্লাহ। আসামিদের সোমবার সকালে পাবনা আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।







