গত সোমবার (৫ জুলাই) হাসপাতালে রোগিদের দুপুরের খাবার হিসেবে ভাতের সাথে খাসীর মাংস দেওয়ার কথা থাকলেও সেখানে দেওয়া হয় পাঙ্গাস মাছ। বিষয়টি এলাকার মানুষ ও রোগির অভিভাবকরা জানার পর প্রতিবাদ করলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা পুলিশ ডেকে এনে প্রতিবাদকারীদের হেনস্থা করার অপচেষ্টা করেন।
জানা গেছে,২০২১-২২ অর্থ বছরে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগিদের পথ্য সরবরাহের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ করা হয়। সেখানে সর্বনি¤œ দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়নি। গত ১ জুলাই থেকে নতুন ঠিকাদার রোগিদের পথ্য সরবরাহ করছে। সেখানে অতি নি¤œমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানার পরও উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ ওমর ফারুক বুলবুল ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আরমিনা আকতার রহস্যজনক কারণে নীরব রয়েছেন। বাজারে যেখানে এক হালি ডিমের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩৫ টাকা,এক হালি কলার দাম ৪০ টাকা,একটি পাউরুটির দাম ১০ টাকা,এক কেজি চিনির দাম ৭০ টাকা আর ১মণ খড়ির দাম ৩ শত টাকা। সেখানে দ্বিগুণ দাম ধার্য করা হয়েছে। প্রতিদিনই রোগিদের নি¤œমানের ও কম পরিমাণ খাবার দিয়ে পুকুর চুরি করা হচ্ছে। রুপপুর বালিশ কান্ডের মতোই চাটমোহর হাসপাতালে চলছে কলা,পাউরুটি,ডিম,খড়ি কান্ড। টেন্ডারে অংশ নেওয়া একাধিক ঠিকাদার অভিযোগ করেন,উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তার যোগসাজসেই সর্বোচ্চ দরদাতাকে কাজ দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের অর্থ লুটপাট করা হবে।
এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ ওমর ফারুক বুলবুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,দামের বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। নি¤œমানের খাবার দেওয়া হলে দেখা হবে। খাসীর মাংস না পাওয়ায় সোমবার পাঙ্গাস দেওয়া হয়েছে। পরে সংশোধন করা হবে। এক পর্যায়ে তিনি বলেন,এ বিষয়ে আদালতে মামলা থাকার কারণে কমেন্ট করা যাবেনা। তবে সর্বনি¤œ দরদাতাই কাজ পেয়েছে।








