ডাক্তার আব্দুর শুকুরঃ দীর্ঘ ৩৫ বছর পর কর্মজীবন থেকে ছুটি পেলেন শ্রদ্ধীয় জীবন কুন্ডু স্যার।১৯৮৫ সালে শুরু হয়েছিল যে শিক্ষকতা জীবনের সেই জীবনের আনুষ্ঠানিক যবানিকা ঘটল আজ বৃহস্পতিবার।
সাঁথিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্যতম প্রাণভোমরা ছিলেন শ্রদ্ধেয় জীবন_কুন্ডু স্যার। দীর্ঘ ৩৫ বছরের শিক্ষকতা জীবনের আজ হল আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি! যদিও শিক্ষক আমৃত্যু শিক্ষকই থাকেন, শিক্ষকদের কোন মরণও নেই তথাপিও নিজ কর্মস্থল হতে এই আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি সম্ভবত জীবনের সবচেয়ে কষ্টদায়ক দিন! হাজারো সুখ স্মৃতি আর সফলতার গল্পকাঁথা আজ ভেসে আসে হ্নদয় কোণে যা চোখের কোণায় জমা হয় সাগর সম জল আর হ্নদয় হয় পাহাড় সম ভারী! পোস্টের স্যারের এই অশ্রুসিক্ত ছবি সে কথাই প্রমাণ করে!
গত ৩৫ বছরের ইতিহাসে যে সকল স্যারদের সাফল্য গাঁথায় পাইলট স্কুলে যুক্ত হয়েছে সফলতার পালক, স্যার তাদের মধ্যে অন্যতম! শিক্ষক হিসাবে স্যারের সাফল্য ও অবদান তাই অনস্বীকার্য!
তবুও স্যারের এই বিদায় ক্ষণে শুধু একটা কথাই মনে হচ্ছে, যাদের দ্বারা এই বিদ্যালয়ের সাফল্য গাঁথা তাদের অনেকেই ইদানীং কালে এই বিদ্যালয় হতে বিদায় নিয়েছেন আর আজ বিদায় নিলেন জীবন স্যার; কিন্তু এই বিদ্যালয়, এই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি আর এই এলাকার জনমানব স্যারদের উপযুক্ত সম্মান করতে ব্যর্থ হয়েছে; ব্যর্থ হয়েছে তাদের নিকট হতে তাদের সেরাটা বের করে নিয়ে আসতে! নিজের চাষ করা বাগান কিন্তু মালী কেন যেন বরাবরই তাদের কেউ নয়! এই ব্যর্থতার দায় তাদের নয় বরং এই ব্যর্থতা আমাদের সবার ; এজন্য স্যারদের নিকট আমরা লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী!
আর আনুষ্ঠানিক ভাবে স্যারকে বিদায় জানানোর জন্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহ সকল সম্মানিত শিক্ষক মন্ডলী, ম্যানেজিং কমিটি আর সকল শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি! আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণ ঢালা অভিনন্দন
আজ স্যারের জন্মদিন! আজকের এই বিষন্ন দিনে বিধাতার দরবারে একমাত্র প্রার্থনা, আপনার ভবিষ্যৎ জীবন সুস্থতার সহিত দীর্ঘ হোক সেই কামনা ব্যক্ত করছি!








