বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন দেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মো. আবদুল হক। আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে উপদেষ্টা পরিষদের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে এ ঘোষণা দেন তিনি।
তিনি বলেন, “দেশের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখা এবং সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের অংশ হিসেবে আগামী নির্বাচন সময়মতো আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এপ্রিল মাসের প্রথমার্ধে যেকোনো দিন নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
প্রধান উপদেষ্টা জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করে ভোটগ্রহণের সম্ভাব্য সময়সূচি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। এছাড়াও, দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আবহাওয়া ও প্রশাসনিক প্রস্তুতির কথা বিবেচনায় নিয়ে এই সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “তফসিল ঘোষণার আগে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোটকেন্দ্র পুনর্বিন্যাস এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রস্তুতির কাজ দ্রুতগতিতে চলছে। এ বছর কয়েকটি কেন্দ্রে পরীক্ষামূলকভাবে উন্নত প্রযুক্তির ইভিএম ব্যবহারের বিষয়টিও বিবেচনায় রয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমরা চাই একটি অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। এজন্য দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচনকালীন সরকার রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখবে এবং সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করবে।
আগামী নির্বাচন ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার বাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা রোধে কেন্দ্রভিত্তিক নিরাপত্তা পরিকল্পনাও নেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের ভিত্তি। এবারের নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা অনেক। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে তা দেশের উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার পথে একটি মাইলফলক হবে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—সকল রাজনৈতিক দল যদি সমান সুযোগ পায় এবং জনগণের ভোটাধিকার নির্বিঘ্নে প্রয়োগ হয়, তাহলেই নির্বাচনের প্রকৃত উদ্দেশ্য সফল হবে।







