২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ 🔻 ১০ই কার্তিক, ১৪৩২🔻 ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা পরিষ্কার করতে হবে: আখতার

জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পথরেখা পরিষ্কার করতে হবে: আখতার

শেয়ার করুন:

জুলাই সনদের অর্জন পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে হলে অবশ্যই এই বাস্তবায়নের পথরেখা জাতির কাছে পরিষ্কার করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, আমরা ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনা চলমান রাখব।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

আখতার হোসেন বলেন, গত ১৭ তারিখের জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমরা অংশগ্রহণ থেকে বিরত থেকেছি। আমরা মনে করি, জুলাই সনদ স্বাক্ষর শুধু আনুষ্ঠানিকতা। যদি বাস্তবায়ন ব্যতিরেকে জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়, তাহলে আমরা যতটুকু অর্জন করতে চেয়েছিলাম, সে অর্জন ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। সে কারণে, জুলাই সনদ স্বাক্ষরকেই আমরা মূল বিষয়বস্তু মনে করি না। আমরা এটাকে আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে দেখি। বরং জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে আদেশ, সেই আদেশের বিষয়ে জনগণের কাছে পরিষ্কার বার্তা উপস্থাপন করে জুলাই সনদকে পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করছি।

তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের কাছে আমাদের দাবিগুলো আবারও পুনর্ব্যক্ত করেছি। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আদেশের ড্রাফট, বিষয়বস্তু, আদেশের পরিধি, প্রত্যেকটা জিনিস জাতির কাছে উপস্থাপন করতে হবে। এই জুলাই সনদ জনগণের সার্বভৌম অভিপ্রায়ের অভিব্যক্তি হিসেবে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সরকারপ্রধান হিসেবে জারি করবেন এবং সামনের সংসদে সংবিধানে পাওয়ার অ্যাপ্লাই করার মধ্য দিয়ে এটাকে একটা সংস্কারকৃত ২০২৬-এর সংবিধান হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। আমরা কমিশনের সঙ্গে এই সামগ্রিক আলোচনার জায়গায় কমিশন আমাদেরকে জানিয়েছেন যে, তারা জুলাই সনদ বাস্তবায়নের একটি আদেশ তারা প্রস্তুত করছেন, যেটাকে আমরা একটা অগ্রগতি হিসেবে দেখি। তথাপিও সে আদেশের মধ্যকার বক্তব্য কী, সে বিষয়গুলো তারা আমাদের কাছে এখনো পর্যন্ত উপস্থাপন করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন, যেটা আমাদেরকে এখনো পর্যন্ত আশাবাদী হতে দেয় নাই।

এনসিপির সদস্য সচিব বলেন, কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে যে আন্তরিকতার জায়গা থেকে বাস্তবায়ন আদেশ প্রস্তুত করার কর্মসূচি হাতে নিয়েছে, সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সেটাও যেন কোনোভাবেই জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো করে কোনো দলের চাপে পড়ে একটা কাগজে-দলিলে পরিণত না হয়, বাস্তবায়ন পরিপন্থিভাবে উপস্থাপিত না হয়, সে ব্যাপারে আমরা ঐকমত্য কমিশনকে সর্বাধিক খেয়াল রাখার জন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছি। আমরা এটা প্রত্যাশা করি, কমিশন যে ড্রাফট প্রস্তুত করছে, সেটা আমাদের সঙ্গে তারা শেয়ার করবেন এবং আমরা পরিপূর্ণভাবে নিশ্চিত হয়েই তারপরে জুলাই সনদে স্বাক্ষরের দিকে আমরা অগ্রসর হতে পারি।



সুত্রঃ কালবেলা