গতকাল মঙ্গলবার (৮ মার্চ) যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সে বক্তব্য দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। সেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা বনে, মাঠে, বেলাভূমিতে, সড়কে যুদ্ধ করবো।’
অন্যদিকে এবিসি টেলিভিশনকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি সুর নরম করে কথা বলেছেন। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি আর ন্যাটোর সদস্য হতে ইচ্ছুক নন। তিনি বুঝে গেছেন, ইউক্রেনকে গ্রহণ করতে ন্যাটো প্রস্তুত নয়।
দোভাষীর মাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমি এমন একটা দেশের প্রেসিডেন্ট থাকতে চাই না, যারা হাঁটু গেড়ে ভিক্ষা চায়।’
জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি বুঝেছেন যে, ন্যাটো রাশিয়াকে চটাবে না। তারা এই বিতর্কিত বিষয়ের মধ্যে ঢুকতে ভয় পাচ্ছে।
যুদ্ধ থামাবার জন্য রাশিয়া যে দাবিগুলো করেছে, তার মধ্যে অন্যতম হলো, ইউক্রেন ন্যাটো এবং ইইউ-র সদস্য হতে পারবে না। তাছাড়া রাশিয়া দাবি করেছে, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক-এর স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিতে হবে। জেলেনস্কি জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হবে না। দ্বিতীয় দাবি নিয়েও তিনি নরম হয়েছেন।
সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেছেন, তিনি দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি আছেন।
তার দাবি, ইউক্রেনকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে হবে। জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ওই দুইটি অঞ্চলকে শুধুমাত্র রাশিয়াই স্বীকৃতি দিয়েছে। তবে আমরা অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমঝোতায় পৌঁছতে পারি।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, ‘আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ওই অঞ্চলে মানুষ কীভাবে বসবাস করবে। তারা ইউক্রেনের অংশ থাকতে চায়। ইউক্রেনের মানুষ তাদের ছেড়ে দিতে রাজি কিনা সেটাও দেখতে হবে। তাই প্রশ্নটা শুধু তাদের স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে নয়, বিষয়টি বেশ জটিল।’
জেলেনস্কি বলেছেন, ‘আমরা হুমকি মেনে নিতে প্রস্তুত নই। যেটা দরকার, তা হলো, প্রেসিডেন্ট পুতিন আমাদের সঙ্গে কথা বলুন।’ ডয়েচে ভেলে, বিবিসি।








