২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ 🔻 ১০ই কার্তিক, ১৪৩২🔻 ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

টেকনোক্র্যাট কমিটির কাছে গাজার শাসনভার হস্তান্তরে রাজি ফিলিস্তিনি দলগুলো

শেয়ার করুন:

হামাসসহ প্রধান ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক দলগুলো শুক্রবার জানিয়েছে, তারা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার পরিচালনার ভার একটি স্বাধীন টেকনোক্র্যাট কমিটির হাতে তুলে দিতে সম্মত হয়েছে। হামাসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতি অনুসারে, কায়রোতে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে গোষ্ঠীগুলো স্বাধীন টেকনোক্র্যাটদের সমন্বয়ে গঠিত একটি অস্থায়ী ফিলিস্তিনি কমিটির কাছে গাজা উপত্যকার প্রশাসন হস্তান্তর করতে সম্মত হয়েছে। এর আগে হামাস জানিয়েছিল, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে তারা ‘পরিষ্কার নিশ্চয়তা’পেয়েছে যে ‘যুদ্ধ কার্যত শেষ হয়েছে’।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই কমিটি আরব দেশগুলো এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহযোগিতায় জীবনযাত্রা ও মৌলিক পরিষেবার বিষয়গুলো পরিচালনা করবে। গাজার দলগুলো ফিলিস্তিনিদের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য একটি সাধারণ অবস্থানে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে। তারা সব শক্তি এবং দলগুলোকে একটি বৈঠকে বসার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে একটি জাতীয় কৌশল নিয়ে একমত হওয়া যায় এবং ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে ফিলিস্তিন মুক্তি সংস্থাকে (পিএলও) পুনরুজ্জীবিত করা যায়। হামাস পিএলওর অংশ নয়, যা তাদের দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

হামাস ও ফাতাহর প্রতিনিধিদল গাজায় যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে আলোচনা করতে কায়রোতে বৈঠক করে। বৈঠকের সঙ্গে যুক্ত একটি সূত্র জানায়, উভয় পক্ষ বৈঠক চালিয়ে যেতে এবং ইসরায়েলি সরকার কর্তৃক সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফিলিস্তিনি অভ্যন্তরীণ ফ্রন্টকে সংগঠিত করার জন্য কাজ করতে সম্মত হয়েছে।

হামাস-ফাতাহ আলোচনার পাশাপাশি, মিশরের গোয়েন্দা প্রধান হাসান রাশাদ গুরুত্বপূর্ণ ফিলিস্তিনি দলগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। এদের মধ্যে হামাসের মিত্র ইসলামিক জিহাদসহ ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন এবং পপুলার ফ্রন্ট ফর দ্য লিবারেশন অব প্যালেস্টাইন রয়েছে।

২০০৬ সালের নির্বাচনের পর সাময়িকভাবে সংঘাতে রূপ নেওয়া হামাস এবং ফাতাহর মধ্যেকার গভীর রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ফিলিস্তিনি জাতীয় ঐক্যের প্রচেষ্টাকে বাধাগ্রস্ত করে। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তারা যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার যৌথ প্রশাসন পরিচালনার জন্য একটি কমিটি গঠনে সম্মত হয়েছিল। ওই চুক্তিটি সমালোচিত হয়েছিল, বিশেষ করে ফাতাহর সদস্যদের দ্বারা।

২০০৭ সালে এই ভূখণ্ডের ক্ষমতা দখলকারী হামাস ইতোমধ্যে স্পষ্ট করে দিয়েছে, তারা যুদ্ধ-পরবর্তী অঞ্চলটি শাসন করতে ইচ্ছুক নয়, তবে তাদের যোদ্ধাদের নিরস্ত্র করার দাবিতে তারা আপত্তি জানিয়েছে।

গাজা যুদ্ধবিরতি তদারকিতে দ্রুত আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠনের আশা রুবিওর: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও গাজায় যুদ্ধবিরতি তদারকির জন্য দ্রুত একটি আন্তর্জাতিক বাহিনী গঠন করার আশা প্রকাশ করেছেন। শুক্রবার দক্ষিণ ইসরায়েলে বেসামরিক-সামরিক সমন্বয় কেন্দ্র পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ইসরায়েল এই বাহিনীর অংশগ্রহণকারীদের ওপর ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা রাখবে। ইসরায়েল তুরস্কের অংশগ্রহণ নিয়ে আপত্তি তুলেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া যুদ্ধবিরতি রক্ষা করার জন্য এবং ইসরায়েলের কোনো বড় ধরনের নতুন সামরিক পদক্ষেপ রোধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্সের পরপরই রুবিও ইসরায়েল সফর করেন।

দক্ষিণ ইসরায়েলে যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণকারী ইসরায়েলি, মার্কিন এবং অন্যান্য পশ্চিমা বাহিনীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় রুবিও দুই বছরের গাজা যুদ্ধের একটি টেকসই সমাপ্তি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। রুবিও বলেন, চুক্তিটি সফল করতে এই বাহিনীর যত দ্রুত সম্ভব একত্রিত হয়ে ভেতরে আসার পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।

ইসরায়েল তুরস্কের অংশগ্রহণে আপত্তি জানিয়েছে বলে প্রকাশিত খবরের মধ্যেই রুবিও নিশ্চিত করেছেন, এই বাহিনীর সদস্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসরায়েল ভেটো ক্ষমতা ভোগ করবে। তিনি বলেন, অনেক দেশই এই কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই, যখন আপনারা এই বাহিনী গঠন করবেন, তখন সেই সেনাদের এমন হতে হবে, যাদের নিয়ে ইসরায়েল স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবে।

অনাহারে গাজার এক-চতুর্থাংশ মানুষ: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ফিলিস্তিনের গাজায় ভয়াবহ খাদ্য সংকট বিরাজ করছে। পরিস্থিতি এতটাই শোচনীয় যে, বর্তমানে গাজার প্রায় এক-চতুর্থাংশ মানুষ, যার মধ্যে ১১ হাজার ৫০০ জন অন্তঃসত্ত্বা নারীও রয়েছেন, তারা তীব্র বা প্রচণ্ড অনাহারের সম্মুখীন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই পরিস্থিতিকে ‘বিপর্যয়কর’ বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলো ইসরায়েলের প্রতি মানবিক সহায়তা প্রবেশের বাধা তুলে নেওয়ার জরুরি আহ্বান জানিয়েছে।

যুদ্ধবিরতি চুক্তির শর্ত অনুযায়ী গাজায় মানবিক সহায়তার সরবরাহ বাড়ানোর কথা থাকলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না। প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টিসামগ্রী পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রবেশ করতে না পারায় সেখানকার মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য যে পরিমাণ খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে, তা একেবারেই অপ্রতুল। এই খাদ্য সংকট গাজার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ওপর ভয়াবহ দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। খাদ্য ও ত্রাণ সরবরাহ নিয়ে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের বাধা প্রদানমূলক কার্যক্রমের কারণে মানবিক কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দ্রুত এই পরিস্থিতি মোকাবিলা না করা গেলে গাজায় মানবিক বিপর্যয় আরও গভীর হবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।

যুদ্ধবিরতির পরও অপর্যাপ্ত ত্রাণ সরবরাহ: গত ১০ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এই চুক্তির অন্যতম শর্ত ছিল গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশের পরিমাণ বাড়ানো। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) অনুযায়ী, গাজায় প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার টন ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর কথা ছিল। তবে ডব্লিউএফপি গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন গাজায় মাত্র প্রায় ৭৫০ মেট্রিক টন খাবার পৌঁছাচ্ছে, যা লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদরোস আধানম গেব্রেয়াসুস নিশ্চিত করেছেন যে, ‘পরিস্থিতি এখনো বিপর্যয়কর পর্যায়ে আছে। কারণ, যা প্রবেশ করছে, তা একেবারেই যথেষ্ট নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘পর্যাপ্ত খাদ্য না থাকার কারণে ক্ষুধাজনিত সংকটে কোনো পরিবর্তন আসেনি।’

ফিলিস্তিনি এনজিও পিএআরসির কর্মকর্তা বাহা জাকুত এই পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার দুই সপ্তাহ পরও গাজা অঞ্চলের পরিস্থিতি বিপর্যয়কর অবস্থায় আছে।

নবজাতকদের ওপর পুষ্টি সংকটের ভয়াবহ প্রভাব: অপুষ্টিজনিত সংকট গাজার ‘পুরো এক প্রজন্মের ওপর’ ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। নবজাতক এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীরা এই সংকটের শিকার হচ্ছেন সবচেয়ে বেশি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) উপনির্বাহী পরিচালক অ্যান্ড্রু স্যাবারটন গত বুধবার এক গুরুতর তথ্য সামনে আনেন। তিনি বলেন, গাজায় এখন নবজাতকদের ৭০ শতাংশই অপরিণত অবস্থায় বা কম ওজন নিয়ে জন্ম নিচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবরের আগে এই হার ছিল ২০ শতাংশ।

স্যাবারটন ব্যাখ্যা করেন, অপুষ্টির প্রভাব শুধু মায়ের ওপর নয়, বরং নবজাতকের ওপরও পড়ে। এর ফলে শিশুটি সারা জীবন দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক সমস্যায় ভুগতে পারে এবং তার জন্য দীর্ঘসময় ধরে বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হতে পারে। ১১ হাজার ৫০০ জন অন্তঃসত্ত্বা নারী এ মুহূর্তে অনাহারে ভুগছেন, যা গর্ভস্থ শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করছে।

খাদ্যসামগ্রীর অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধি: গাজার স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করা সীমিত পরিমাণে ফলমূল ও সবজির দামও আকাশছোঁয়া। খাদ্য সংকটের কারণে এই জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে পিএআরসির কর্মকর্তা জাকুত জানান, এক কেজি টমেটো আগে যেখানে ১ শেকেলে পাওয়া যেত, তা এখন প্রায় ১৫ শেকেলে বিক্রি হচ্ছে। এই মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় বেশিরভাগ পরিবার প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাদ্য সংগ্রহ করতে পারছে না। এতে অনাহার এবং অপুষ্টির সমস্যা আরও তীব্র হচ্ছে।

জাকুত আরও বলেন, বাণিজ্যিক ট্রাকে বিস্কুট, চকলেট ও সোডা ঢুকতে দেওয়া হলেও বীজ ও জলপাইয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলো এখনো সীমিত পরিমাণে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যেসব পণ্য প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে, সেসব শিশু, নারী ও সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় থাকা জনসাধারণের জন্য প্রয়োজনীয় ন্যূনতম পুষ্টিমান পূরণ করে না।

ত্রাণ প্রবেশে ইসরায়েলের বাধা: আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশে ‘অবৈধভাবে’ বাধা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ আনা হয়েছে। অক্সফাম, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলসহ ৪১টি ত্রাণ সংস্থা এক খোলা চিঠিতে এই অভিযোগ করে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল সরকার নিয়মিতভাবে তাদের মানবিক কার্যক্রম শুরুর আবেদন প্রত্যাখ্যান করছে।

চিঠিতে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়, গাজায় ত্রাণ বিতরণে ১০ থেকে ২১ অক্টোবরের মধ্যে আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর ৯৯টি আবেদন এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর ছয়টি আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। যেসব ত্রাণসামগ্রীকে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ‘অগ্রহণযোগ্য’ ঘোষণা করেছে তার মধ্যে ছিল—তাঁবু ও ত্রিপল, কম্বল, গদি, খাদ্য ও পুষ্টিসামগ্রী, স্বাস্থ্য কিট, স্যানিটেশনের সামগ্রী এবং শিশুদের পোশাক। সংস্থাগুলো দাবি করে, যুদ্ধবিরতির সময় এসব সামগ্রীর ওপর থেকে সীমাবদ্ধতা তুলে নেওয়া জরুরি।

মাত্র দুটি পথে ঢুকছে ত্রাণ, রাফা খোলার আহ্বান: গাজায় মানবিক সহায়তা কম পৌঁছানোর প্রধান কারণ হলো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডটিতে বর্তমানে মাত্র দুটি প্রবেশদ্বার খোলা রয়েছে এবং তা ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে। এই ক্রসিংগুলো হলো—দক্ষিণে কারেম আবু সালেম ও মধ্যাঞ্চলে আল-কারারা ক্রসিং। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির তথ্য অনুযায়ী, শুধু এই দুটি ক্রসিং সচল থাকায় দৈনিক ২ হাজার টন ত্রাণ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না। ত্রাণ সংস্থাগুলো ইসরায়েলের প্রতি অবিলম্বে মানবিক ত্রাণ প্রবেশের জন্য রাফা ক্রসিংসহ অন্যান্য প্রবেশদ্বারও খুলে দেওয়ার এবং সরবরাহের প্রক্রিয়া সহজ করার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে গাজার মানুষের তীব্র অনাহার দ্রুত মোকাবিলা করা যায়। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান, আলজাজিরা, এএফপি ও রয়টার্স।