১০ই নভেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৫শে কার্তিক, ১৪৩২🔻 ১৮ই জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যুক্তরাষ্ট্রে আহমাদ আল-শারা

শেয়ার করুন:

যুক্তরাষ্ট্র সফরে গেছেন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমাদ আল-শারা। সন্ত্রাসবাদের কালো তালিকা থেকে নাম মুছে ফেলার এক দিন পর দেশটিতে সফরে গেলেন তিনি। সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) তিনি হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। টিআরটি ওয়ার্ল্ড বলছে, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা সরকারি বৈঠকে অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছেন। সংবাদ সংস্থাটি জানায়, ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পর শনিবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে রওনা দেন।

আলজাজিরা বলছে, ওয়াশিংটন শারার এ সফরকে আইএসআইএল বা আইএসআইএসের বিরুদ্ধে দামেস্ককে বৈশ্বিক জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ হিসেবে দেখছে।

এদিকে যেদিনই শারা যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা দেন, তখনই সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সারা দেশে আইএসআইএল সেলের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিরাপত্তা অভিযান শুরুর ঘোষণা দেয়। আল-শারার নেতৃত্বে হায়াত তাহরির আল-শাম ও অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠী গত বছর দীর্ঘদিনের শাসক বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করে। সোমবার হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন আল-শারা।

বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ার স্বাধীনতার পর ১৯৪৬ সালের পর এটিই কোনো সিরিয়ার প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম ঘটনা। আল-শারা গত মে মাসে রিয়াদে প্রথমবার ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গত শুক্রবার তাকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘সন্ত্রাসী নিষেধাজ্ঞা তালিকা’ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সিরিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত টম বারাক চলতি মাসের শুরুতে বলেন, ‘আশা করা যায়’ আল-শারা মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটে যোগদানের এক চুক্তিতে সই করবেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও এএফপি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপনের পরিকল্পনা করছে, যা সিরিয়া ও ইসরায়েলের মধ্যে ওয়াশিংটন-নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তা চুক্তি বাস্তবায়নে সহায়ক হবে।

অন্যদিকে, আল-শারা তার সফরে সিরিয়ার পুনর্গঠনের জন্য অর্থ সাহায্য চাইবেন। টানা ১৩ বছরের ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের পর দেশটি এখন ব্যাপক পুনর্নির্মাণ সংকটে পড়েছে। বিশ্বব্যাংকের হিসাবে, পুনর্গঠনে অন্তত ২১ হাজার ৬০০ কোটি ডলার প্রয়োজন, যা তারা ‘সর্বনিম্ন অনুমান’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।

আল-শারা একসময় আলকায়দার সিরিয়ার শাখার নেতৃত্বে ছিলেন। তবে এক দশক আগে তার বিদ্রোহী সংগঠন ওই নেটওয়ার্ক থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং পরে আইএসআইএলের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে। তার সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শামকে যুক্তরাষ্ট্র গত জুলাইয়ে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকা থেকে বাদ দেয়।

আল-শারার ওয়াশিংটন সফরটি হচ্ছে সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে তার ঐতিহাসিক সফরের পর।