প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস দিবস ২০২০- উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, এখন সংসদ অধিবেশন না থাকায় সংশোধনী কার্যকর করার জন্য সরকার একটি অধ্যাদেশ জারি করছে।তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হলো উদ্ভূত যে কোনো সমস্যার মোকাবিলা করা এবং এটি সমাধান করা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব-দ্বীপ ভূমি হিসেবে বাংলাদেশকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, ভূমিকম্প, আগুন, নদীর ভাঙন ও খরার মুখোমুখি হতে হয়েছে।‘এই প্রাকৃতিক দুর্যোগ ধারাবাহিকভাবে আসবে, আমাদেরকে এ সবের মুখোমুখি হয়েই বাঁচতে হবে। এজন্য আমাদের এইসব সমস্যা সমাধানে সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে এবং আমরা তাইই করছি,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার ইতোমধ্যে দেশের উন্নয়নের জন্য ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নামে একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, সরকার নাব্যতা এবং গভীরতা বৃদ্ধির জন্য নদী খনন করছে, খাল, বিল, পুকুর ও জলাভূমি যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি সংরক্ষণ করতে পারে সেজন্য এগুলো পুনরায় খনন করছে।
তিনি বলেন যে নদীগুলো সর্বোচ্চ খনন করা উচিত যাতে বন্যার সময় এগুলোতে যথেষ্ট পরিমান পানি ধারণ করতে পারে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের লক্ষ্য প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা ও সার্বিক উন্নয়ন রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
প্রধানমন্ত্রী দেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার উন্নতির জন্য এবং চলমান কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার জন্য সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সংক্ষিপ্তভাবে বর্ণনা করেন।
আন্তর্জাতিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস দিবস ২০২০- উপলক্ষে বাংলাদেশে প্রতিপাদ্য বিষয় হলো ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে সুশাসন নিশ্চিত করবে টেকসই উন্নয়ন’।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. এ বি তাজুল ইসলাম এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহসিন বক্তব্য দেন।
বেদেনী নুরুন্নাহার এবং মো. রেজাউল হক সরকারের কাছ থেকে দুর্যোগ সহনশীল বাড়ি পাওয়ার কারণে তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক কাশফিয়া তালুকদারও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।এর আগে, প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেরা স্বেচ্ছাসেবক বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার তুলে দেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নতুনভাবে নির্মিত ১৭০০৫টি দুর্যোগ সহনশীল ঘর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন এবং ‘স্ট্যান্ডিং অর্ডার অব ডিজাস্টার’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।








