ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘মেলিসা’। বর্তমানে এটি ক্যাটাগরি-৫ আকারের ঝড়ে রূপ নিয়েছে। এটির গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ২৫৭ কিমি। এরফলে রেকর্ড ভাঙা ধ্বংসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার (২৭ অক্টোবর) সিএনএনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি) জানিয়েছে, এটি মঙ্গলবার সকালে জ্যামাইকায় আঘাত হানতে পারে। এদেশটির ইতিহাসে আঘাত হানতে যাওয়া সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হতে যাচ্ছে এটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে মেলিসার কেন্দ্র জ্যামাইকার রাজধানী কিংস্টন থেকে প্রায় ১৩০ মাইল দক্ষিণে। এটি প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ৩ মাইল গতিতে পশ্চিমমুখীভাবে এগোচ্ছে। এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে একই এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সোমবার সকালে এক বিবৃতিতে এনএইচসি বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয় ছেড়ে বাইরে না যাওয়ার অনুরোধ করেছে। সংস্থাটি বলেছে, আজ থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের সম্ভাবনা রয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চলে বিধ্বংসী ঝোড়ো হাওয়া ও ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি ঘটতে পারে। দীর্ঘমেয়াদি বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ বিভ্রাটের আশঙ্কাও রয়েছে।।
সিএনএন জানিয়েছে, জ্যামাইকার সরকার ইতোমধ্যেই উপকূলীয় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা, বিশেষত কিংস্টনের কিছু অংশে বাধ্যতামূলক সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগের প্রধান ইভান থম্পসন বলেন, ঝড়ের কেন্দ্র দক্ষিণ উপকূলে পৌঁছালে দ্বীপের দক্ষিণ-পূর্ব অংশে জলোচ্ছ্বাসের উচ্চতা ৯ থেকে ১৩ ফুট পর্যন্ত হতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর প্রভাবে আগামী বুধবার পর্যন্ত দক্ষিণ হাইতি ও জ্যামাইকার কিছু অংশে ৭৬০ মিমি পর্যন্ত বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া কিছু এলাকায় ১ হাজার ২০ মিমি ছুঁতে পারে। বাতাসের গতি পাহাড়ি অঞ্চলে নিচু এলাকার চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি হতে পারে বলে এনএইচসি সতর্ক করেছে। ফলে গাছ উপড়ে যাওয়া, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা ও ভবনের ক্ষতি ব্যাপক হতে পারে।
জ্যামাইকার পাশাপাশি পূর্ব কিউবা, দক্ষিণ বাহামাস ও টার্কস অ্যান্ড কাইকোস দ্বীপপুঞ্জেও হারিকেন সতর্কতা জারি করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে সরাসরি আঘাতের সম্ভাবনা না থাকলেও, পূর্ব উপকূলে উত্তাল সমুদ্র ও বিপজ্জনক রিপ কারেন্ট দেখা দিতে পারে বলে সতর্ক করেছে আবহাওয়া বিভাগ।







