১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ১৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

নেতানিয়াহুকে মেরে ‘শহীদ’ হতে চেয়েছিলেন বৃদ্ধা, তার আগেই গ্রেপ্তার

শেয়ার করুন:

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে রকেট লাঞ্চার দিয়ে হত্যা পরিকল্পনার অভিযোগে ৭৩ বছর বয়সী এক বৃদ্ধাকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। সম্প্রতি কঠিন রোগে আক্রান্ত ওই ইসরায়েলি নারীকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করেছে প্রসিকিউশন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই নারী টার্মিনালি অসুস্থ। অর্থাৎ ব্যক্তি এমন একটি মারাত্মক ও চূড়ান্ত পর্যায়ের রোগে আক্রান্ত, যার আর কোনো নিরাময় বা চিকিৎসা নেই। এর কারণে রোগীর মৃত্যু অবধারিত হয়ে উঠেছে। সাধারণত এ ধরনের অসুস্থতায় ডাক্তাররা রোগীর আয়ুষ্কালের একটা আনুমানিক সময় দেন, যেমন কয়েক মাস বা এক বছরের মধ্যে রোগী মারা যেতে পারেন।

তেল আবিবের বাসিন্দা এই নারী একজন সরকারবিরোধী কর্মী বলে জানানো হয়েছে। নাম প্রকাশ না করলেও অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অসুস্থতার খবর জানার পর প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তার ভাষায়, নিজের জীবন ‘উৎসর্গ’ করে বর্তমান সরকার থেকে ইসরায়েলকে ‘বাঁচাতে’ চান তিনি।

অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি এক সহকর্মীকে পরিকল্পনার কথা জানান এবং একটি রকেটচালিত গ্রেনেড কেনার ব্যাপারে সাহায্য চান। একই সঙ্গে নেতানিয়াহুর চলাফেরা, কর্মসূচি ও নিরাপত্তা বিষয়ে তথ্য সংগ্রহেও ওই সহকর্মীর সহায়তা চান।

তবে ওই ব্যক্তি তার প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তাকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। পরে যখন বোঝেন যে তিনি থামছেন না, তখনই তিনি কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। এর ভিত্তিতেই বৃদ্ধাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রসিকিউশন জানিয়েছে, ওই নারী এখনো বিপজ্জনক হতে পারেন। কারণ তিনি ‘শহীদ’ হতে রাজি বলেও দাবি করেছেন। তাই তাকে গৃহবন্দি রাখার আবেদন করেছে তারা।

এর আগে ২০২৪ সালেও এক ইসরায়েলি পুরুষ সামাজিকমাধ্যমে নেতানিয়াহুকে হত্যার হুমকি দেওয়ার পর গ্রেপ্তার হন।

ইসরায়েলে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা বিরল নয়। ১৯৯৫ সালে প্রধানমন্ত্রী ইৎসহাক রবিনকে হত্যা করে এক উগ্র-ডানপন্থি ইসরায়েলি, কারণ তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে অসলো শান্তি চুক্তির পক্ষে ছিলেন।

সূত্র : খালিজ টাইমস