২৬শে অক্টোবর, ২০২৫ 🔻 ১০ই কার্তিক, ১৪৩২🔻 ৩রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

পাবনায় ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

শেয়ার করুন:

২৫০ শয্যার পাবনা জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় সাব্বির নামের ৭ মাসের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ ওঠেছে। আজ (বুধবার, ৮ অক্টোবর) দুপুরে ভর্তির ৩ ঘণ্টা পরই শিশুটি মারা যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি শিশুটির মৃত্যু হয়েছিলো নিউমোনিয়া ও হার্ট ছিদ্রের কারণে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শিশুটি নিউমোনিয়ার ও ঠাণ্ডায় আক্রান্ত ছিল। শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. পরিমল পান্ডে শিশুটিকে দেখে দায়িত্বরত নার্সকে একটি ইনজেকশন পুশ করতে বলেন। চিকিৎসকের নির্দেশনা মোতাবেক নার্স শিশুকে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। ইনজেকশন পুশের পর শিশুটির অবস্থা আশংকাজনক হয়ে যায়। পরে তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে শিশু বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা. পরিমল পান্ডে বলেন, ‘বাচ্চাটি নিউমোনিয়া ও হার্ট ছিদ্র নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল।’ ভুল চিকিৎসায় মৃত্যু হয়নি বলে দাবি তার।

তবে স্বজনরা বলছেন, বাচ্চাটি ভর্তির তিন ঘণ্টা পর চিকিৎসা শুরু করা হয়। হয়তো সাথে সাথে চিকিৎসা শুরু হলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু হতো না।

শিশুটির বাবা পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার সোনাতলা গ্রামের রনি মোল্লা জানান, ঠাণ্ডা জনিত কারণে তার শিশু পুত্র সাব্বিরকে বুধবার দুপুরে ভর্তি করেন। ভর্তির ৩ ঘণ্টার মাথায় শিশুটি মারা যায়।

শিশুটির মায়ের অভিযোগ, ওয়ার্ড থেকে বাচ্চার কয়েকটি পরীক্ষা দেয়া হয়। পরীক্ষা শেষে রিপোর্ট নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে গেলেও ডাক্তার রিপোর্ট না দেখে চিকিৎসা দেন। ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় আমার বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘গরু বিক্রি করে ছেলের চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসেছি। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’

শিশুর বাবা রনি মোল্লা বলেন, ‘বাসা থেকে ভালো বাচ্চা নিয়ে এসেছি। বাচ্চা সারা পথ দুধ খেতে খেতে আসছে। সুস্থ বাবুকে সামান্য ঠাণ্ডা হাওয়ায় নিয়েছি। কিন্তু চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় মারা গেছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, এ ঘটনার পর চিকিৎসক, নার্স ও বহিরাগতরা এ বিষয়ে কথা না বলার জন্য নানা হুমকি ধামকি দিয়েছে।

এদিকে হাসপাতালের পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান রিমনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।