সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনায় পরকীয়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতেই সু-কৌশলে একে একে হত্যা করা হয় সন্তান স্বনাপ ও স্ত্রী রীমা খাতুনকে অভিযোগ স্বজনদের।
জানাযায়, পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মৃত আব্দুর রহমানের মেয়ে রীমার সাথে একই জেলার সুজানগর উপজেলার আলাদীপুর গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে ইবাদ প্রাং(৪৩) এর ২০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। প্রায় দুই বছর হলো ইবাদের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তোলেন স্ত্রী রীমা (৩৫)।
এ ঘটনার পর থেকেই সংসারে স্বামী স্ত্রীর মধ্য কলহর জের ধরে বিচ্ছেদের ঘটনাও ঘটে। এক পর্যায়ে উভয় পরিবারের মাধ্যামে সন্তানদের ভবিষৎ ভেবে পুনরায় বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ১ মাস পূর্বে নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় ৭ম শ্রেণিতে পড়–য়া সন্তান স্বনাপ (১২) এর লাশ।
স্কুল ছাত্র স্বনাপের মা মাঠ থেকে মরিচ তুলে বাড়িতে এসে দেখেন ঘরে বাইরে থেকে সিকেল দেয়া। ঘরে প্রবেশ করে স্বনাপের মৃতদেহ দেখতে পান।
এলাকাবাসী ও স্বনাপের মা রীমার অভিযোগ সন্তানকে তার বাবা ইবাদ প্রামানিক গলাটিপে হত্যা করেছে। এ ঘটনার পরেও দ্রুত সময়ে স্থানীয় কবরস্থানে স্কুল ছাত্রকে দাফন করা হয়। পরিবারের অন্যরা এ মৃত্যুকে স্ট্রোক বলে চালিয়ে দেন। ওই সময় নিজের সংসার ও দুই সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেন নাই স্বনাপের মা।
পরকীয়া ও সন্তানের মৃত্যু রহস্য নিয়ে স্বামী ইবাদের সাথে কলহ চলছিল রীমার। এঘটনায় গত ২০ জুলাই সকালে রীমাকে তার স্বামী ইবাদ বেদম মারপিট করে। স্থানীয়রা গুরুত্বর অবস্থায় পাবনা হাসপাতালে নেবার পথেই রীমা মারা যায়। রীমার শ্বশুর বাড়ির লোকজনের অভিযোগ সে বিষ প্রানে আত্মহত্যা করেছে।
রীমার মা সুর খাতুন দাবি নাতীর মৃত্যুর ঘটনা আমার মেয়ে রীমা খাতুন মেনে নিতে পাছিল না। জামাই ইবাতের পরকীয়া ও সন্তান মৃত্যুর বিষয়ে মুখ খোলায় আমার মেয়ে রীমাকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়। তিনি আরও জানান, নিজের পরকীয়া সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে কৌশলে ছেলে ও স্ত্রীকে হত্যা করেছে ইবাদ। এই দুই হত্যাকান্ডের ঘটনায় সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।
রীমার ভাই আব্দুল জলিল জানান, আমরা এ হত্যাকান্ডের বিচারের জন্য থানায় লিখিত আবেদন দেওয়া প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এঘটনার সংবাদ পেয়ে আমিনপুর থানা পুলিশ রবিবার রাতে লাশ উদ্বার করে ময়না তদন্তের জন্য পাবনা মর্গে প্রেরণ করেছেন।
আমিনপুর থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি গোলাম মোস্তফা জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে পাবনা মর্গে প্রেরণ করেছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা করতে আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।







