পাবনার আটঘরিয়া থেকে ২ মাসের শিশুপুত্র নিঁখোজ আদিল হাসানকে ১৬ ঘন্টা পর আদমদীঘিতে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার সকালে আদমদীঘি উপজেলার মটপুকুরিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় ও রুনা আক্তার ওরফে রাবেয়া (৫২) কে আটক করে। তবে এ ঘটনায় বাদি না হওয়ায় অভিযুক্ত রুনা আক্তার রাবেয়াকে মুছলেকায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, পাবনা জেলার আটঘরিয়া উপজেলার দক্ষিণ হারুলপাড়া গ্রামের মামুন হাসানের মাত্র ২ মাসের ছেলে আদিল হাসানকে গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) বেলা ২ টায় মামুন হাসানের স্ত্রী তার ফুপু একই গ্রামের মোতালেব আকন্দের মেয়ে প্রবাসি ফেরত রুনা আক্তার রাবেয়ার কোলে দিয়ে সাংসারিক কাজ করছিল। শিশু পুত্রটিকে কোলে নিয়ে বেড়ানোর সুযোকে গোপনে নিয়ে আদমদীঘি উপজেলার মটপুকুরিয়া গ্রামে তার ২য় স্বামী আইয়ুব আলীর বাড়িতে আসেন।
এদিকে সন্তানকে না পেয়ে তার বাবা মা হন্ন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। শিশু আদিল হাসানকে কোলে নেয়া ফুপু রুনা আক্তার ওরফে রাবেয়াকে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও তার কোন সন্ধ্যান পাননি। ফলে শিশু আদিল হাসানের বাবা মামুন হাসান আটঘরিয়া থানায় একটি অভিযোগ করেন। মোবাইল ফোনের সুত্রধরে পর দিন গতকাল রোববার সকাল ৬টায় ওই শিশুর বাবা মা আদমদীঘি উপজেলার মটপুকুরিয়া গ্রামে আসেন। সেখানে নিজের সন্তান শনাক্ত করলে গ্রামবাসির সহযোগিতায় রুনা আক্তার রাবেয়াকে আটক করে বেঁধে রাখেন।
এরপর জাতীয় সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে আদমদীঘি থানা পুলিশ সকাল ১০টায় মটপুকুরিয়া গ্রামে পৌঁছে শিশুটিকে উদ্ধার এবং অভিযুক্ত রুনা আক্তার রাবেয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে উদ্ধার করা ওই শিশুকে তার পিতামাতার নিকট হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় মামলা না করায় রুনা আক্তার রাবেয়াকে মুছলেকানামা লিখে নিয়ে থানা থেকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে আদমদীঘি থানার ওসি তদন্ত শহিদুল ইসলাম জানায়।







