৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

পাবনায় ইছামতি নদী পারের বৈধ বসতি উচ্ছেদের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন শুরু

শেয়ার করুন:

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনায় ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতি উচ্ছেদের প্রতিবাদে কাফনের কাপড় পরে আমরণ অনশন করছে শতশত নারী পুরুষ শিশুরা। গতকাল সোমবার সকার ১০টা থেকে শহরের আব্দুর হামিদ সড়কের পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে এই আমরণ অনশন শুরু হয়েছে।
পাবনা শহরের মধ্যদিয়ে বয়ে চলা ঐতিহ্যবাহী ইছামতি নদীর দুই পারে পৈক্তিক ও ক্রয়কৃত জমির মালিকরা প্রায় একশত বছর ধরে বৈধ ভাবে সরকারের খাজনা খারিজ দিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু সম্প্রতি কোন প্রকারের নোটিশ ও আলোচনা বা ক্ষতিপূরন ছাড়াই নদী পারের প্রায় ৪ হাজার বসতিকে উচ্ছেদ করতে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা হুমকির মুখে পড়েছে।
পাবনা ইছামতি নদী পাড়ের বৈধ বসতি স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাসুদুর রহমান মিন্টু জানান, ১৯৩৬ সালের সিএস দিয়ারা পেটি, ১৯৬২ সালের এসএ, ১৯৮৫ সালের আরএস এবং ২০১৫ সালের বিএস রেকর্ডিয় সুত্রে জমির মালিক আমরা। এছাড়া মহামান্য হাইকোর্ট বিরোধ নিস্প্রত্তি না হওয়া পর্যন্ত সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে জেলা প্রশাসনকে। মামলা চলমান থাকা শর্তেও জেলা প্রশাসন আইন অমান্য করে জোরপূর্বক আমাদের বৈধ জমিকে অবৈধ বলে উচ্ছেদ করতে চাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, চার পুরুষের বৈধ বসতিদের কাগজ পত্র দেখে এই উচ্ছেদ কার্যক্রম করতে হবে। আর যদি নদী খনন করার জন্য জায়গা প্রয়োজন হয় তাহলে ক্ষতিপূরন দিতে হবে। আমরা সরকারের সকল খাজনা খারিজসহ চারটি রেকর্ডধারী জমির মালিক। চারটি বৈধ রেকর্ডধারীদের অবৈধ বলে কোন প্রকারের আলোচনা না করে জোড় পূর্বক সিমানা নির্ধারন করে উচ্ছেদ প্রক্রিয়া চলছে। যতক্ষন পর্যন্ত এই সমস্যার সমাধান না হবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের এই আন্দোলন চলবে, প্রয়োজনে লাশ হয়ে ফিরে যাবো। তিনি এই সমস্যার সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তোক্ষেপ দাবী করেন।  
উল্লেখ্য, আগামী ৩১ মার্চ থেকে ইছামতি নদী খনন কাজ উদ্বোধন হবে বলে জানা গেছে।