৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

পাবনায় ৭ ডাকাত আটক,লুন্ঠিত মালামাল ও অস্ত্র উদ্ধার,

শেয়ার করুন:

ইছামতিনিউজটুয়েন্টিফোর. কম রিপোর্টঃ পাবনা সদর থানাধীন মালঞ্চী বাজারে ডাকাতি ঘটনার ৩৬ ঘন্টার মধ্য ডাকাত দলের ৭ সদস্যকে আটক, লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার ও ডাকাতি কাজে ব্যহৃত অস্ত্র উদ্ধার করেছে পাবনা পুলিশ ও ডিবির সদস্যরা।

পাবনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খানের রবিবার এক প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানাযায়, গত ২৪ আগস্ট রাত ১.০০ ঘটিকায় দিকে জেলার মালঞ্চী বাজারের নাইট গার্ডদের বেঁধে রেখে ডাকাত দল পর পর ০৪টি দোকানের তালা ভেঙ্গে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার, ফ্রিজ, টেলিভিশন, মোবাইল ফোন সহ প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার মালামাল লুন্ঠন করে নিয়ে যায়। এ সংক্রান্তে পাবনা সদর থানার মামলা নং-৯৩। তারিখ-২৪ আগস্ট, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ (পেনাল কোড) রুজু হয়। 

পুলিশ সুপার, জনাব মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান,বিপিএম, পাবনা নির্দেশে ও প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) জনাব মোঃ মাসুদ আলম এর নেতৃত্বে অতিঃ পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জনাব রোকনুজ্জামান সরকার, পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ, আমিনুল ইসলাম ও এসআই(নিঃ) অসিত কুমার বসাক সহ জেলা গোয়েন্দা শাখার একটি চৌকশ টিম একযোগে পাবনা, সিরাজগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ডাকাত সর্দার মোঃ আমিরুল ইসলাম সহ ডাকাত দলের ৭ জন সদস্যকে গ্রেফতার করেন। তাদের দেওয়া তথ্য মতে অভিযান পরিচালনা করে সিরাজগঞ্জের শাহাজাদপুর, বেলকুচি এবং গাজীপুর থানা এলাকা হতে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত পিকআপ ও সিএনজি আটক করে এবং লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার করে। এ সময় ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য মাহাতাব এর দেখানো মতে তার নিজ বাড়ি থেকে দুইটি তাজা গুলি সহ একটি শাটারগান উদ্ধার করে পুলিশ। আটককৃত আসামীরা হলো-১।আমিরুল ইসলাম (৩৯), পিতা-নজাব আলী, সাং-চর দুরগাগরাখালী, থানা-বেলকুচী, জেলা-সিরাজগঞ্জ (তার বিরুদ্ধে ০২টি ডাকাতি, ০২টি চুরি সহ মোট ৫টি মামলা রয়েছে)। 

২। মোঃ মাহাতাব মৃধা (২৬), পিতা-বিল্লাল মৃধা, সাং-হায়দারপুর, থানা-আটঘরিয়া, জেলা-পাবনা (তার বিরুদ্ধে ০২টি ডাকাতি মামলা রয়েছে)। 

৩। মোঃ ছাদেক (৫২), পিতা-মৃত কানচু সাং-রুপপুর, থানা-শাহাজাদপুর, জেলা-সিরাজগঞ্জ (তার বিরুদ্ধে ০৪টি ডাকাতি, ০৩টি চুরি সহ মোট ৭টি মামলা রয়েছে)।  

৪। মোঃ এরশাদ @ রাজা @ গোলজার (৪২), পিতা-মৃত ওসমান সরদার, সাং-পোতাজিয়া,থানা-শাহাজাদপুর, জেলা-সিরাজগঞ্জ (তার বিরুদ্ধে ০৪টি ডাকাতি, ০১ ০২টি অস্ত্র সহ মোট ০৮টি মামলা রয়েছে)। ৫। মোঃ দুলাল ফকির (২৬), পিতা-মোঃ তোরাব আলী, সাং-পয়দা রহিমপুর, থানা-পাবনা সদর, জেলা-পাবনা। 

৬। মোঃ ফজল আলী (২২), পিতা-মোঃ সিরাজ আলী, সাং-চর দুরগাগরাখালী, থানা-বেলকুচী, জেলা-সিরাজগঞ্জ।৭। মোঃ রাজু আহম্মেদ @ রঞ্জ(৪৩), পিতা-মৃত আব্দুল আজিজ মাষ্টার, সাং-কান্দাপাড়া, থানা-বেলকুচী, জেলা-সিরাজগঞ্জ (তার বিরুদ্ধে ০২টি ডাকাতি, ০৩টি চুরি সহ মোট ০৫টি মামলা রয়েছে)। পুলিশ এ সময় আটকৃতদের নিকট থেকে একটি শাটারগান ও দুই রাউন্ড তাজা গুলি।  ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি নীল রংয়ের মিনিট্রাক (যাহার রেজিঃ নং-ঢাকা মেট্রো-ন-১৮-৮৯৫৪)। ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত একটি সবুজ রংয়ের সিএনজি। যাহা রেজিঃ বিহীন। ১৩ টি লুণ্ঠিত ফ্রিজ।  ৫টি লুন্ঠিত এলইডি টেলিভিশন।  ৫ টি লুন্ঠিত মোবাইল ফোন ।  ডাকাতি মালামাল বিক্রয়ালদ্ধ টাকা সর্বমোট-৭৯৮০৫/-টাকা।তালা এবং সাটার ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত কাটার মেশিন এবং হাসুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রপাতি।  ডাকাতদের ব্যবহুত  ১০ টি মোবাইল। লুন্ঠিত হওয়া ৪০ টি স্ক্রাচ কার্ড এবং ৩টি এমবি কার্ড। 

হত্যা মামলা, ডাকাতি, অপহরণসহ জেলা পুলিশের পর পর কয়েকটি সফল অভিযানে জেলার বসবাসকারি সাধারণ মানুষের মধ্যে পুলিশের প্রতি ভালবাসা বৃদ্ধি পেয়েছে। পুলিশ জনগণের সেবায় নিয়োজিত সেটি পাবনার পুলিশ সুপার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে প্রতিয়মান হচ্ছে বলে অনেকের ধারণা।