ঠিকাদার নিয়োগ সংক্রান্ত জটিলতায় দেশের একমাত্র বিশেষায়িত পাবনা মানসিক হাসপাতালের খাবার সরবরাহে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ফলে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) থেকে নতুন রোগী ভর্তি কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হঠাৎ এ ধরনের সিদ্ধান্তে দূর-দূরান্ত থেকে মানসিক রোগী নিয়ে আসা স্বজনদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। অনেকেই ভর্তি না করেই রোগী নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৫০০ শয্যার এই হাসপাতালের রোগীদের জন্য খাবার সরবরাহের দরপত্র গত ২৬ জুন উন্মুক্ত করা হয়। দরপত্রে অংশগ্রহণকারী আটটি প্রতিষ্ঠানই শর্ত পূরণ করলেও একাধিক সর্বনিম্ন দরদাতা থাকায় কাউকে কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. শাফকাত ওয়াহিদ এ বিষয়ে বলেন, “প্রথমে আনিক ট্রেডার্স সর্বনিম্ন দরদাতা ছিল। কিন্তু পরে আরও প্রতিষ্ঠান একই পরিমাণ দর দেওয়ায় সিদ্ধান্ত জটিল হয়ে পড়ে। এখন আমরা নিয়ম মেনে সংকট নিরসনের চেষ্টা করছি। আশা করছি, চলতি সপ্তাহের মধ্যেই বিষয়টির সমাধান হবে।”
তিনি আরও জানান, “খাবার সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়ায় ২৭ জুন থেকে নতুন রোগী ভর্তি স্থগিত রাখা হয়েছে। তবে পূর্বে ভর্তি থাকা রোগীদের জন্য খাবার সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।”
অন্যদিকে, হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মাসুদ রানা সরকার বলেন, “বহির্বিভাগে রোগীদের চিকিৎসা চালু আছে। প্রতিদিন শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।”
হাসপাতাল সূত্রে আরও জানা যায়, বর্তমানে হাসপাতালে ৪৩৪ জন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে খাবার সরবরাহ নিশ্চিত না হওয়ায় হাসপাতাল আপাতত নতুন কাউকে ভর্তি নিচ্ছে না।







