১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ১৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

মাইশাহর আঁকা ছবি যেন জীবন্ত

শেয়ার করুন:

 জয়নুল আবেদীন রানা:ছোট বেলা হতেই মাইশাহ্ এর ছবি আকার আগ্রহ ছিল প্রবল। ২য় শ্রেণিতে পড়ার সময় বাংলাদেশ শিশু একাডেমী রাজশাহী কর্তৃক প্রতিযোগিতায় শহীদ মিনারের ছবি এঁকে ১ম স্থান অধিকার করায় ছবি আকার প্রতি মাইশাহ্র আগ্রহ বেড়ে যায়। নিজেই রং-পেন্সিল দিয়ে অবলিনাক্রমে ছবি আঁকে। মাইশাহ্ এর আঁকা ছবিগুলো দেখে সকলেই মুগ্ধ হয়। তার আঁকা সব ছবিগুলোই যেন জীবন্ত।

মাইশাহ্ বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা রাজশাহী অঞ্চল রাজশাহীর উপ পরিচালক ড. শারমিন ফেরদৌস চৌধুরী ও রাজশাহী জজ কোটের সিনিয়র আইনজীবি এবং রাজশাহী আইন কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুস সালাম এর একমাত্র মেয়ে।

মাইশাহ্ এর আঁকা গ্রাম-বাংলার ছবিগুলোর চেয়ে বেশী স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু, ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযোদ্ধাকালীন দৃশ্যপটগুলো। কেন এসব বিষয়ের ছবিগুলো বেশী এঁকেছো জানতে চাইলে মাইশাহ্ বলেন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণের পর দেশপ্রেমে উদ্বৃদ্ধ হয়ে লক্ষ লক্ষ নিরস্ত্র বীর বাঙ্গালী যার যা কিছু আছে তা নিয়েই মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়। এর পূর্বেও ৫২ ভাষাআন্দোলনে মাতৃ ভাষার জন্য বিশ্বের প্রথম আত্মদানকারী বাঙ্গালীজাতি। মাইশার আঁকা ছবিতে স্থান পেয়েছে ৫২ ভাষা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ৭ মার্চের ভাষণ ,কিভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের নির্যাতন ও হত্যা করা হচ্ছে, কিভাবে মুক্তিযুদ্ধারা পাকসেনাদের পরাস্থ করে ধরে বেঁধে নির্যাতন ও হত্যা করছে। আরও স্থান পেয়েছে মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন সংক্রান্ত ছবিগুলো। মাইশাহ্ বড় হয়ে একজন সত্যিকার আর্টিস্ট হতে চান।