বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প রূপপুর ইউনিট-১–এ চুল্লি ভবনের কন্টেনমেন্ট (Containment) সফলভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এটি প্রকল্পটির নির্মাণ প্রক্রিয়ায় একটি বড় মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
কন্টেনমেন্ট হলো পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার শেষ স্তরের প্রতিরক্ষামূলক ব্যারিকেড, যা দুর্ঘটনার সময় তেজস্ক্রিয় বিকিরণ ঠেকাতে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
পরীক্ষার সময় চুল্লির কন্টেনমেন্টে ৪.৬ kgf/cm² (প্রায় ০.৪৫ MPa) পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ চাপ সৃষ্টি করা হয়। পরীক্ষাগুলোর উদ্দেশ্য ছিল – এই চাপের মধ্যে কাঠামোর দৃঢ়তা, স্থায়িত্ব এবং নকশা অনুযায়ী কাজ করার সক্ষমতা যাচাই করা।
এটি প্রি-স্ট্রেসড রিইনফোর্সড কংক্রিট এবং স্টিল লাইনার সিস্টেম দিয়ে নির্মিত এক অভ্যন্তরীণ প্রতিরক্ষামূলক ঘের। এটি তেজস্ক্রিয় উপাদান নিয়ন্ত্রণে রাখতে, দুর্ঘটনা প্রতিরোধ করতে এবং বাহ্যিক ধাক্কা থেকে পরমাণু চুল্লিকে রক্ষা করতে ডিজাইন করা হয়েছে।
রুশ নির্মাতা কোম্পানি অ্যাটমস্ট্রয়এক্সপোর্ট (Atomstroyexport JSC)–এর বাংলাদেশের প্রকল্প বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সি ডেরি বলেন,
“এই পরীক্ষাগুলোর মধ্যে অনেকগুলো অপারেশন একবারই করা হয়, চুল্লি ভবনের নির্মাণ শেষ হওয়ার পর। পরীক্ষার সফল ফলাফল নিশ্চিত করে যে কন্টেনমেন্ট সিস্টেমটি সব ধরনের নকশাগত ও নিয়ন্ত্রক মান পূরণ করেছে। এটি ইউনিট-১ চালুর পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ।”
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু সংস্থা রোসাটম জানায়, তাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য হচ্ছে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রকল্পটি আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী সব বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা ও প্রকৌশলীয় মান পূরণ করেই এগিয়ে যাচ্ছে।
এই সফলতা চুল্লিতে পারমাণবিক জ্বালানি লোডিংয়ের প্রস্তুতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ কন্টেনমেন্ট হলো তেজস্ক্রিয় উপাদান নিয়ন্ত্রণে রাখার ‘শেষ প্রতিরক্ষা দেয়াল’।







