১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ১লা পৌষ, ১৪৩২🔻 ২৪শে জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

লকডাউনে পাবনা-বগুড়া মহাসড়কে মাইক্রোবাস এখন গণপরিবহন

শেয়ার করুন:

ইছামতিনিউজ২৪.কম রিপোর্টঃ লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিকল্প পরিবহন হিসেবে এখন মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, সিএনজি মানুষের গণপরিবহনে পরিণত হয়েছে। এতে বাসের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ বেশি ভাড়া গুনতে হচ্ছে যাত্রীদেরকে।

গেল মাসের ২৯ এপ্রিলে তৃতীয় দফার লকডাউনের আদলে ‘কঠোর নিষেধাজ্ঞার’ প্রথম থেকেই পাবনার সাঁথিয়া ও বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুরসহ পাবনা-বগুড়া মহাসড়কে এ চিত্র দেখা যায়।নিষেধাজ্ঞা সময়কালে গণপরিবহন চলাচল ও সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। তবে দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো তৃতীয় দফাতেও কঠোর নিষেধাজ্ঞা সবকিছুই স্বাভাবিকভাবেই চলতে দেখা যাচ্ছে। 

মহামারি করোনার ক্রান্তিকালে স্বাস্থ্যবিধিকে থোড়াই কেয়ার করে গাদাগাদি যাত্রী নিয়ে পাবনায় চলাচল করছে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজি।

বেড়া উপজেলার কাশিনাথপুর ও বেড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে ভোর ৬টায় শুরু হয়ে রাত পর্যন্ত চলে যাত্রী উঠা-নামা। ব্যস্ততম জায়গায় প্রশাসনের নাকের ডগায় এমন অরাজকতা চললেও নেওয়া হচ্ছে না কোনো ব্যবস্থা। অথচ কাশিনাথপুর ফুলবাগান নামক স্থান থেকে যাত্রী উঠা-নামা করে তার সামনেই অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশ বক্স।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কাশিনাথপুর ফুলবাগান মোড়ে সকাল থেকেই শুরু হয় পাবনাসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াতের জন্য আসা যাত্রীদের আনাগোনা। দশ সিটের মাইক্রোবাসে তোলা হয় ১৪/১৫ জন যাত্রী। ভাড়া নেওয়া হয় বাসের তুলনায় দুই থেকে তিন গুণ। ৩০ থেকে ৪০টি মাইক্রোবাস এভাবেই প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে। এতে করোনার সংক্রোমন বৃদ্ধি পাবে বলে সচেতন মহলের ধারণা।

লকডাউনের কারণে গণপরিবহন চলাচল বন্ধে এসব মাইক্রোবাসের অনেকগুলোই সড়কে চলাচলের অনুপযোগী। স্বাভাবিক সময়ে এগুলোতে যাত্রী বহন না করে বসিয়ে রাখা হত। কিন্তু মাইক্রোবাসে যাত্রী বহনের সুযোগ পেয়ে লক্কড়-ঝক্কড় এসব মাইক্রোবাসও সড়কে নামানো হয়েছে। যে কোন সময় বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।

কাশিনাথপুর থেকে পাবনা পর্যন্ত বাসের ভাড়া যাত্রী প্রতি ৬০ টাকা হলেও মাইক্রোতে নেওয়া হচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত। একই রকমভাবে বেড়া ও কাশিনাথপুর বাসস্ট্যান্ডে দেখা যায় সিএনজিচালিত অটোরিকশাতেও গাদাগাদি করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে।

পাবনা জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মো. রইজউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে আজ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। 

কাশিনাথপুর ট্রাফিক পুলিশ বক্সে কর্তব্যরত পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যানবাহন) রবীন্দ্রনাথ ম-লকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, দুই-একটি সিএনজি চললেও কোনো মাইক্রোবাস ফুলবাগান মোড় থেকে ছেড়ে যাচ্ছে না। বরং এগুলো যাতে সড়কে চলাচল না করে সে ব্যাপারে তাঁরা কঠোর দৃষ্টি রেখেছেন বলে জানান।