শিশুদের ৯০% ক্যানসার চিকিৎসায় সেরে ওঠা সম্ভব।

প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় দুই কোটি মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হয় এবং এক কোটিরও বেশি মানুষ এই মরণব্যাধির কারণে প্রাণ হারায়। অথচ ক্যানসার একটি নিরাময়যোগ্য রোগ— যদি তা প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এই বার্তাটি সামনে রেখে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত হয়েছে একটি ক্যানসার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনার।

সোমবার (৭ জুলাই ) দুপুরে পাবিপ্রবির কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারের আয়োজন করে ইউনেস্কো ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ। সেমিনারটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তর।

সেমিনারের শিরোনাম ছিল:
‘Understanding the Gaps in Cancer Education and Awareness in Bangladesh and Finding Prospective Solutions: A Special Emphasis on Stigmas and Challenges Among Women’

সেমিনারে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ও ক্যানসার এডুকেশন অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস ইন বাংলাদেশের পরিচালক ড. মুস্তাক ইবনে আইয়ুব। তিনি বলেন,

অন্যান্য অনেক রোগের মতো ক্যানসারও একটি চিকিৎসাযোগ্য অসুখ। এটি শুধু একজন ব্যক্তির নয়, পুরো পরিবার ও সমাজের উপর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে শিশুদের ৯০ শতাংশ ক্যানসার সময়মতো সনাক্ত ও চিকিৎসা দিলে নিরাময়যোগ্য। নিয়মিত দৈহিক পরিশ্রম, বিশেষ করে প্রতিদিন ৪০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস, ক্যানসারসহ নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।

উপাচার্যের সতর্কতা:
সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন,

একজন ক্যানসার রোগীর যন্ত্রণার পাশাপাশি তার পরিবারকেও নানা রকম কষ্ট সহ্য করতে হয়। আমাদের খাবারের মধ্যে ভেজাল বেড়ে যাওয়ার কারণে রোগের প্রকোপও বাড়ছে। পূর্বপুরুষরা বিশুদ্ধ খাবার খেতেন, সে জন্য রোগ কম হতো। এখন আমাদের খাদ্যাভ্যাসে সচেতনতা আনতে হবে এবং রোগ প্রতিরোধে জীবনযাত্রায় শৃঙ্খলা আনতে হবে।

বিশেষ অতিথিদের বক্তব্য:
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শামীম আহসান, এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াসমিন ও ড. এস এম মাহবুবুর রশিদ।

সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের পরিচালক ড. মো. রাশেদুল হক এবং সঞ্চালনায় ছিলেন আইসিই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তরুন দেবনাথ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এই সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।