জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন ,রক্ষণাবেক্ষণ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে সহায়ক কর্মসূচী সহ মোট ২৬ ধরণের নাগরিক সেবা প্রদান করে থাকেন জেলা পরিষদ। সেদিক থেকে চাটমোহর-ভাঙ্গুড়া-ফরিদপুর তিন উপজেলার পাবনা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যা নির্বাচিত হয়েছিলেন ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাথরঘাটা গ্রামের বাসিন্দা শুলশাহানারা পারভীন লিপি। উপজেলা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি যথা নিয়মে হাজির হন। অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সিনিয়র নেতাদের সামনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে যথারীতি আর্থিক অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রæতি প্রদান করলেও বছরের পর বছর চলে গেলেও সেই প্রতিশ্রæতি আর পুরণ করেন নি তিনি। তার এমন কর্মকান্ডের ব্যাপারে উপজেলার সরকার দলীয় সিনিয়ির নেতারা কিছুটা বিব্রতবোধ ও স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সুত্র জানান, গত ২০১৬ সালে কালবৈশাখী ঝড়ে ভাঙ্গুড়া টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজের একটি ঘর ভেঙ্গে যায়। পরে কলেজ চত্বরে জনসভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য উপস্থিত জনতার সামনে জেলা পরিষদ সদস্য গুলশাহানারা লিপিকে কলেজটির ঘর মোরামতের জন্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে ১টি অনুদান প্রদানের নির্দেশ দেন। এসময় গুলশাহানারা লিপি নিজেও কলেজটিতে অনুদানের প্রদানের প্রতিশ্রæতি মঞ্চের মাইকে ঘোষনা করেছিলেন কিন্তু গত সাড়ে ৩ বছর পর হলেও তা আর বাস্তায়ন করেন নি। উপজেলার আরও অনেক এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলিতে তিনি দিয়েছেন কিন্তু প্রতিশ্রæতি বাস্তবায়ন করেন নি।
এ বিষয়ে পাবনা জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য গুলশাহানারা পারভীন লিপি বলেন, জেলা পরিষদের সরকারি অনুদানের ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অগ্রাধিকার ভিত্তিকে বরাদ্ধ পাবে। কিছু প্রতিষ্ঠানকে প্রতিশ্রæতি দেওয়ার কথা স্বীকার করে সরকারি বরাদ্দ কম ও নগদ অর্থ অনুদান চাওয়ায় তা আর দেওয়া সম্ভাব হয় নি। তবে প্রতিষ্ঠানের বেঞ্চ ও অন্যান্য উপকরণ হলে তার জন্য দেওয়া সহজ হয় কিন্তু অনিয়মের কথা তিনি অস্বীকার করেন ।








