২৫শে অক্টোবর, ২০২৫ 🔻 ৯ই কার্তিক, ১৪৩২🔻 ২রা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৭

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি নেতা বহিষ্কার

শেয়ার করুন:

ফেনীতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে এবার বিএনপি থেকে বহিষ্কার হলেন ফেনী সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বাদল। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) রাতে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক পত্রে তাকে ফেনী জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে ও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নামে অশালীন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারের কারণে ফেনী সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বাদলকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যসহ সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে দলীয় সূত্র কালবেলাকে নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ফেনী সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য ও জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সদ্য বহিষ্কৃত অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বাদল তার ফেসবুক আইডি থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদকে নিয়ে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট দেন।

এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলে তাকে যুবদলের সব স্তরের পদপদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে বিভিন্ন ঘটনা পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় দপ্তরের নির্দেশে মঙ্গলবার রাতে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে সদর উপজেলা বিএনপি থেকে ও বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির বাদল কালবেলাকে জানান, আমি শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক। ১৩টি মামলার আসামি হয়েছি। ছয় মাস জেল খেটেছি। দলের শত শত নেতাকর্মীদের বিনা পয়সায় আইনি সহায়তা দিয়েছি। কিশোর বয়স থেকেই জাতীয়তাবাদের রাজনীতি করে আসছি। আমার অপরাধের বিষয় নিয়ে শোকজ কিংবা আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। কোনো ব্যাখ্যা চাওয়া হয়নি।

তিনি জানান, বর্তমান হ্যাকিং এবং এআইয়ের যুগে যে কাউকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁদে ফেলা যায়। আমি রুহুল কবির রিজভী সাহেবের বিষয়ে কোনোই ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলিনি এবং বলার প্রশ্নই আসে না। ৫ আগস্টের পর স্থানীয় কিছু লোকের বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের বিষয়ে আমি দলীয় ফোরামে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালিখি করেছিলাম। তাই স্থানীয় পর্যায় থেকে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এসব করানো হচ্ছে বলে আমার ধারণা। বিএনপি আমার প্রথম এবং শেষ ঠিকানা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল কালবেলাকে জানান, রিজভী ভাইকে নিয়ে কটূক্তির ঘটনায় এর আগে তাকে যুবদল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে এ নিয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকায় রিপোর্ট হলে তিনি আবারও এ নিয়ে দম্ভ করে বক্তব্য দেন। যার ফলে কেন্দ্রের নির্দেশক্রমে তাকে বিএনপির সব পদপদবি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।



সুত্রঃ কালবেলা