সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার মাধপুর বাজার সংলগ্ন মাইবাড়িয়া মৌজায় ফার্নিচার পট্রি খ্যাত ৮/৯ জন ভুমি মালিক অর্ধশত বছর ধরে ক্রয়কৃত জমির উপর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থপনা গড়ে তোলে। কাকতালীয় ভাবে আতাইকুলা মাধপুর আমেনা খাতুন ডিগ্রী কলেজের কর্তপক্ষ নিজেদের জায়গা বলে ওই স্থানে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেয়। দখলকৃত মালিকদের ও বাকবিতন্ডায় টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভাবিয়ে তুলেছে এলাকার শান্তি প্রিয় মানুষদের।
জানা যায়, মাইবাড়ীয়া মৌজার ডিএস ৪ নং খতিয়ানে ২১৩, ২১৫ দাগে ২৫ শতাংশ জমি ২৮/১১/১৯৫০ সালে ১২৫৩ নং দলিল মুলে ক্রয় করে জয়নুদ্দিন, ডিএস ৩৫ খতিয়ানে ২১৯ দাগে ১৩ শতাংশ মকবুল খাঁ মালিক হয়ে অন্য তাদের বংশধরেরা দখল করে আসছেন। তারা দোকান ঘর নির্মান করে ফার্নিচার, স’ মিলসহ বিভিন্ন ব্যবসা করে আসছেন। কাকতালীয় ভাবে গত বৃহস্পতিবার আতাইকুলা মাধপুর আমেনা খাতুন ডিগ্রী কলেজর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে শিক্ষক, কর্মচারী, শিক্ষার্থীসহ শতাধিক ব্যক্তি উক্ত তফসিল কৃত সম্পত্তি কলেজের দাবী করে জোরপুর্বক সাইন বোড টাঙিয়ে দখলের চেষ্টা করে। এসময় তারা দখলে থাকা ব্যবসায়ীদের চলতি মাসের ২০ তারিখের মধ্যে স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার সময় বেধে দেয়।
এব্যপারে জমির মালিক সমশের, সোলায়মান, সেলিম, বিশ্বজিতসহ ব্যবসায়ীরা জানান, অর্ধশত বছর ধরে ক্রয়কৃত জমির উপর দোকান পাট স্থপনা গড়ে তোলে বয়বসা করে আসছি। তারা আরো জানান এ ভুমি নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে রেকর্ড সংশোধনী মামলা চলমান রয়েছে। যার মামলা নং ২৩৮/১৯৯৫ ও ৫১ /২০০৮ বিচারাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিমত বিজ্ঞআদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় কিভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষ জোর পুর্বক সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দেন। এটা আইন শৃঙ্খলা ভঙ্গের ইঙ্গিত নয় কি?
এব্যপারে আতাইকুলা মাধপুর আমেনা খাতুন ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন কলেজের নামে রেকর্ড ও খাজনা দেয়া হয় তাই আমরা সাইনবোর্ড দিয়ে দখলে যাওয়ার চেষ্টা করছি।
Post Views: 159







