১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২রা আশ্বিন, ১৪৩২🔻 ২৪শে রবিউল আউয়াল, ১৪৪৭

সাঁথিয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুরের অভিযোগ

শেয়ার করুন:

মনসুর আলম খোকন, সাঁথিয়া, পাবনা: পাবনার সাঁথিয়ায় ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করে কয়েকটি শ্রেণিকক্ষের জানালা ও সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে  উপজেলাধীন মিয়াপুর হাজী জসীমউদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে।

জানা যায়, ১৫ সেপ্টেম্বর (সোমবার)  মিয়াপুর হাজী জসীম উদ্দীন স্কুল এন্ড কলেজে একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলছিল। নবীনবরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে সকাল থেকে চলছিল সাজসজ্জার কাজ। এমতাবস্থায় হঠাৎ করে শিবির নেতা সোহানের নেতৃত্বে কিছু নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হয়ে দলীয় কর্মসূচি পালন করার কথা বলে। উপস্থিত শিক্ষকরা তাদের চলে যেতে বললে তারা শিক্ষকদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায়। বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে তারা কাঠের বাটাম, হাতুড়ি ও লাঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ক্যামেরা ও তিনটি শ্রেণিকক্ষের জানালা ভাঙ্গচুর করে। তাদের এই কর্মকাণ্ডে বাধা দেওয়ায় কয়েকজন শিক্ষককে মারধর করে তারা।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি সোহান হোসেন বলেন, আমি ২২ তারিখ (সোমবার) কলেজ ক্যাম্পাসে কর্মসূচি পালন করার জন্য অধ্যক্ষের নিকট লিখিত অনুমতির জন্য গিয়েছিলাম। তখন আওয়ামীপন্থী বজলু স্যার আমার সাথে খারাপ আচরণ করে আমাকে আটকে রাখে। এসময় আমি কল দিলে আমাদের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হলে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এসময় কিছু শিক্ষক বাটাম ও লাঠি দিয়ে আমাদের মারধর করেছে, আমরা কোন হামলা বা ভাঙচুর করিনি। সোহান হোসেন আরও জানান,তাদের কর্মী আ: মজিদ আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

এ বিষয়ে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল মালেকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে মুঠোফোনে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম, পরিবেশ এখন শান্ত।লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।