সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাগেশ্বরী নিষ্কাশন খালে বসানো অবৈধ সোতিজালের বাঁধ অপসারণ করেছে উপজেলা প্রশাসন। উপজেলায় করমজা ইউনিয়নে বড়গ্রাম দত্তপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) প্রধান নিষ্কাশন খালের জায়গায় বাঁশের ঘের তৈরি করে সোতি জাল দিয়ে বাঁধ নির্মান করা হয়েছিল। বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ার রবিবার(০৯ নভেম্বর) দিন ব্যাপী অভিযান চালিয়ে বাঁধ অপসারণ করা হয়। এতে উপজেলার কমপক্ষে ১৫টি বিলের প্রায় ১০ হাজার বিঘা আমনের খেত জলমগ্ন থেকে রক্ষা পেল। এছাড়াও সময় মত পেঁয়াজসহ অন্য রবিশস্যের আবাদ সম্ভব হবে কৃষকের।
জানাযায়, উপজেলার কাগেশ্বরী নদীতে জাল ও বাঁশের বাঁধ দিয়ে মাছ শিকারের খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর অবৈধ সোতি জালের বাঁধের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্্িরকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আসিফ রায়হানসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা। দিনভর মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে বাঁশ ও জালের বাঁধ কেটে ফেলা হয়। সংগ্রহকৃত বাঁশ ও জাল পরে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, কাগেশ্বরী নদীকে ১৯৯২ সালে প্রধান নিষ্কাশন খালে (ডি-২) রূপান্তরিত করা হয়। এই নদীর সঙ্গে সংযোগ রয়েছে উপজেলার অন্তত ১৫টি বিলের। বর্ষা মৌসুমে এসব বিলসহ উপজেলার নিচু এলাকার পানি ওই খালের মাধ্যমে যমুনা নদী দিয়ে বের হয়ে যায়। এসব খালে আমন ধান কেটে পেঁয়াজসহ রবিশস্যের আবাদ করা হয়।
শিবরামপুর গ্রামের কৃষক ফজলুল হক জানান, বাঁধ অপসারণের কারণে আমরা জমি থেকে পাকা আমন ধান সহজে সংগ্রহ করতে পারবো। এছাড়াও যথাসময়ে রবিশস্যর আবাদ করতে পারবো।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিজু তামান্না জানান, তারা সোতি জালের বাঁধ নিজেরা অপসারণ না করায় রবিবার তা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অপসারণ করা হয়। বাঁধ অপসারণে বাঁধা সৃষ্টি করতে তারা নানা প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এমনকি বাঁধের নিকট পেীছাতে ব্যবহৃত বাঁশের সাঁকো তারা ভেঙ্গে ফেলে ঘটনাস্থলে পৌছাতে বাঁধা সৃষ্টি করে। জন দুর্ভোগ নিরোসনে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।







