আবুল কাশেম, পাবনার সাঁথিয়ায় বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র স্থাপন হওয়ায় বদলে গেছে পল্লী বিদ্যুতের সেবা। সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী এ্যাড. শামসুল হক টুকুর প্রচেষ্টায় সাঁথিয়া উপজেলার কোনাবাড়িয়ায় এটি স্থাপন হয় যা এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে।
জানা গেছে, সাঁথিয়া উপজেলায় পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর অধীনে জোনাল ও সাব-জোনাল অফিসের প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার গ্রাহক মাধপুর/আতাইকুলা অবস্থিত একটি মাত্র উপকেন্দ্রের আওতায় ছিল। একটি জোনাল অফিস ও একটি সাব-জোনাল অফিস এর একটি সাঁথিয়া অপরটি একই উপজেলার আতাইকুলাতে। ফলে নিরবছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল এ এলাকার ১ লাখেরও অধিক গ্রাহক। কারণ হিসাবে জানা যায়, এ উপকেন্দ্রের একটি জোনাল অফিস ও একটি সাব-জোনাল অফিস থাকায় যে যার মত বিদ্যুৎ বন্ধ করে কাজ করতো। এতে করে লক্ষাধীক গ্রাহক বিভিন্ন সময় বিদ্যুৎ বিভ্রাটে পড়তো। ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের লোড শেডিং এ অতিষ্ট ছিল এলাকাবাসী। উপকেন্দ্রটি হওয়াতে এখন আর তাদের বিদ্যুতের জন্য কষ্ট পেতে হয় না। এ উপকেন্দ্রটি উদ্বোধন হওয়ার আগেই বিদ্যুতের সুবিধার জন্য চালু করা হয়েছে বলে জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এনার্জি প্যাকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা। চলতি মাসেই এ উপকেন্দ্রটি বুঝিয়ে দেয়া হবে বলে জানান এনার্জিপ্যাকের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বরত কর্মকর্তা। বর্তমান সাঁথিয়া সাব-জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রুহুল আমিন গত বছরের আগষ্ট মাসে যোগদানের পর গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধিসহ কর্মচারীদের সাথে নিয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছেন বলে জানান তিনি। যে কোন পেশাজীবি বিদ্যুৎ গ্রাহক সরাসরি অফিসকক্ষে গিয়ে যে কোন বিষয়ের সেবা গ্রহণ করে থাকেন। তিনি আরও জানান, সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এড. শামসুল হক টুকুর নির্দেশনায় ও সাব-জোনাল অফিসের কর্মচারীদের নিরলস পরিশ্রমে সরকারের নেয়া উদ্যোগ বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিদ্যুৎ এর সুবিধার আওতায় আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে দ্রুত কয়েক ঘন্টার মধ্যে গ্রাহকের সংযোগ প্রদানের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়াও কোন কারণে বিদ্যুৎ বন্ধ হলে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মোবাইলে বিদ্যুৎ বন্ধের কারণ ক্ষুদে বার্তায় পৌছে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সাবজোনাল অফিসের আওয়ায় বানিজ্যিক/আবাসিক মিলে প্রায় ৩০ হাজার গ্রাহকের উন্নত সেবা প্রদানে দক্ষ কর্মীবাহিনী সর্বদা প্রস্তুত। এছাড়াও তিনি বিদ্যুৎ গ্রাহকদের সমস্যার কথা শুনে তা সমাধানের লক্ষ্যে সাব-জোনাল অফিসে সপ্তাহে একদিন করে উন্মুক্ত গণশুনানী শুরু করেছেন। এতে করে একদিকে বিদ্যুৎ সেবার উন্নতি হয়েছে। অন্যদিকে তার কার্যালয়ে যে অনিয়ম ও দুনীর্তি ছিল তা আজ শুন্যের কোঠায় এসেছে বলেও দাবি তার। তবে তিনি গ্রাহক সেবা আরো দ্রুততার সাথে দেয়ার জন্য জনবলের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন।এ বিষয়ে সাঁথিয়া পৌর মেয়র মিরাজুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে জানান, সাঁথিয়া-বেড়ার গণমানুষের নেতা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এড. শামসুল হক টুকু এমপি যখন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ছিলেন তখন সাঁথিয়ায় একটি উপকেন্দ্র করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। তিনি ওই সময় এটা সেংশান করেন। তারই ফলশ্রুতিতে এবং পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারিীদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ সাঁথিয়ার জনগণ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। সাঁথিয়ায় পল্লী বিদ্যুতের সেবার মান বদলে যাওয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, বর্তমানে আমরা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছি। তা ছাড়া যিনি সাব-জোনাল অফিসে দায়িত্বে আছেন তিনি খুবই আন্তরিক এবং ভাল মানুষ। তিনি আরও বলেন,আমি এ পর্যন্ত বিদ্যুৎ অফিসের অনিয়ম,দুর্ণীতি ও গ্রাহক হয়রানীর কোন অভিযোগ পাইনি। ##








