ইছামতিনিউজ২৪.কম রিপোর্টঃ সারা দেশে এখনো পৌরসভার নির্বাচন চলমান থাকলেও সাঁথিয়া উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া বউতে শুরু করছে। এ হওয়া এখন পরিষদ কার্যালয় থেকে বাজা-ঘাট হয়ে গ্রামের পাড়া মহলায় পৌছে গেছে। চা-ষ্টলসহ সর্বত্রে বইছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের আলোচনা সমালোচনা। প্রার্থীরা রঙ বে-রঙের ব্যানার পোষ্টার সাটাচ্ছেন বাজারসহ রাস্তার মোড়ে মোড়ে। ভোর থেকে রাত অবধি চালাচ্ছেন জন সংযোগ। তবে সবচেয়ে বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে কে কোন দলের প্রার্থী হবেন, তার কি প্রতিক হবে। ব্যানার পোষ্টারে যে যার দলীয় নেতার ছবি দিয়ে মনোরঞ্জনের চেষ্টা করছেন দলীয় প্রতিক পেতে। দলীয় মনোনয়ন ও প্রতিক পেতে উপজেলা, জেলাসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে লবিং চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।
বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ মিরাজুল ইসলাম বিশ্বাস তিনি আর.আতাইকুলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্যাগী নেতা ও আর.আতাইকুলা ইউনিয়নের মরহুম চেয়ারম্যান আলহাজ কোরবান আলী বিশ্বাসের পুত্র। অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন নিষ্ঠার সাথে। তিনি জনগনের সান্নিধ্যে সেবা করছেন। তিনি বলেন, আগামীতে আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন পেলে দেশ নেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে তোলার অঙ্গিকার করেন। যেহেতু আর.আতাইকুলা একটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিয়ন সেহেতু আর.আতাইকুলা ইউনিয়নকে পৌরসভায় রূপান্তরিত করে মডেল হিসেবে গড়ে তুলতে পরিকল্পনা গ্রহণ করছেন। আগামীতে সে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর তিনি।
তরুণ নেতা আলহাজ নিজাম উদ্দিন ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন কর্মী। তিনি বলেন এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের জন্য কাজ করছেন,আগামীতে আরো করবেন। জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের হাতকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করতে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতিক চান। তিনি আরো বলেন, মহামারী করোনা কালে খাদ্যসামগ্রী ও শীতকালীন শীত বস্ত্র বিতরন করেছেন। তিনি নৌকার মনোনয়ন পেলে নির্বাচিত চেয়ারম্যান হলে এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজ করবেন।
আর.আতাইকুলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আরশেদ আলী ভান্ডারী বলেন, তিনি দীর্ঘ দিন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে আসছেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ থেকে সরে আসেন নাই। বর্তমানে আর.আতাইকুলা ইউনিয়ন আ”লীগের সাধারন সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, ইউনিয়নের অবহেলিত জনগোষ্ঠিসহ ইউনিয়নের জন সাধারনের মাঝে সমবণ্টন উন্নয়নের মানসিকতা কাজে লাগিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে নৌকা প্রতিক ও আওয়ামী দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি।
মোঃ মোকাদ্দেছ আলী মুন্সি বলেন, তিনি আওয়ামীলীগের একজন সক্রীয় সদস্য। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বুকে ধারন করে দলের কাজ করছেন। তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে আর.আতাইকুলা ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়নে উন্নয়ন করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট দলীয় মনোনয়নসহ নৌকা প্রতিক চান। দেশনেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করব। ইউনিয়ন থেকে সন্ত্রাস, দুর্নীতি, মাদক, চাঁদাবাজ, ইভটিজিংসহ সমাজের অপকর্ম দুর করব।
মোঃ ফিরোজ হোসেন সিদ্দিক, সাঁথিয়া উপজেলা কমিটির সাবেক সেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ন আহবায়ক। তিনি বলেন, তার পিতা মোহাম্মদ আবু বকর এমপি ৬ দফা আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণসহ আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ভ’মিকা রাখেন। ১৯৭৩ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হয়ে তৎকালীন পাবনা -৬ আসন (সিরাজগঞ্জ) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁরই উত্তরসুরী ফিরোজ হোসেন সিদ্দিক। সন্ত্রাস,চাঁদাবাজ, মাদক নির্মুল ও আর.আতাইকুলা ইউনিয়নকে উন্নয়নের পরিবর্তনশীল করার লক্ষ্যে এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করতে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন। সেলিম রেজা: বিএনপি থেকে আর আতাইকুলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সেলিম রেজা ছাড়া কারো নাম শোনা যায়নি। তবে উপজেলা বিএনপি’র এ নেতা বিভিন্ন সময় জেল হাজতে থাকায় সে আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে রয়েছে জনমনে প্রশ্ন। তবে তিনি বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে। সুযোগ থাকলে সেলিম রেজা আর-আতাইকুলা ইউনিয়ন নির্বাচনে বিএনপি দলীয় প্রার্থী হবেন বলে জানান তার আত্বীয় স্বজনরা।
এছাড়াও অন্যান্যদের নাম শোনা গেলেও তারা নিজেদের জাহির করতে চান না। তারা লবিং চালাচ্ছেন উর্ধতন নেতাদের দ্বারে দ্বারে।
স্থানীয়র সরকার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অভিজ্ঞ মহল মনে করেন যেহেতু দলীয় প্রতিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেহেতু দলীয় এক নেতা প্রতিক পাবেন। আর নির্বাচনের বাতাস আরো ভারি হলে দলীয় প্রতিক প্রত্যাশীর সংখ্যা কম বা বেশী হতে পারে। এরপরও স্ব-স্ব দলীয় ইউনিয়ন কমিটি কেন্দ্রে নাম প্রেরন পুর্বক প্রার্থীতা ঘোষনা হবে। স্থানীয় জনগন নেতাদের দিকে তাকিয়ে আছে। কার ভাগ্যে আসবে দলীয় প্রতিক।








