৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ১৭ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

সাঁথিয়ার বড়গ্রামে জেলে পাড়ায় মোহাম্মদ আলী মেম্বরের তান্ডব

শেয়ার করুন:

 

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার করমজা ইউনিয়নের বড়গ্রামে হিন্দু পাড়ায় স›ত্রাসী তান্ডব চালিয়ে ভাংচুর মারপিট করেছে একই গ্রামের মোহাম্মদ আলী মেম্বর।

২৫ মার্চ রাতে মোহাম্মদ আলী মেম্বর ও তার ভাইয়ের নেতৃত্বে বড়গ্রামের জেলে পাড়ায় লাঠি, ফালা, হাসুয়া ও ছুরি নিয়ে একদল সন্ত্রাসী হামলা চালায়। এসময় আতঙ্কিত হয়ে কান্নাকাটি করে নারী ও শিশুরা।

আতঙ্কগ্রস্থ হিন্দু জেলেরা চেয়ারম্যানকে ফোন করে। রাত ১২ টায় ঘটনাস্থলে ছুটে যান করমজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন আলী বাগচি। চেয়ারম্যানের সামনেই মোহাম্মদ আলী মেম্বর ও তার দলবল বিমল হালদার, জিতেন হালদার রনজু হালদার আকাশ হালদারসহ হিন্দু যুবক পৌঢ় এমনকি বৃদ্ধ ব্যক্তিদের কিল ঘুষি লাথি দেয় এবং অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এ সময় চেয়ারম্যান হোসেন আলী বাগচী হামলাকারীদের নিবৃত করতে গেলে তাকেও লাঞ্ছিত করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানা থেকে পুলিশ যায়। হামলাকারীরা মন্টু হালদারের ঘর ভাংচুর করে এবং কয়েকটি ঘরে দা কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে বিনষ্ট করে। যাওয়ার সময় বিমল হালদারসহ হিন্দু পাড়ার জেলেদের মোহাম্মদ আলী মেম্বর শাসিয়ে যায় থানায় অভিযোগ করলে দেশ ছাড়া করার। এরপর থেকেই গ্রামবাসী হিন্দুরা আতঙ্কে আছে।

গতকাল ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় বিমল হালদার তার গ্রামবাসী সাঁথিয়া উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাসকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যান। মোহাম্মদ আলী মেম্বেরকে প্রাধান আসামী করে মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে বিমল হালদার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

করমজার ইউণিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বড়গ্রাম জেলে পাড়ায় গতকাল রবিবার (২৮ মার্চ) সরজমিনে যেয়ে দেখা গেল কোন বাড়িতে চুলা জ্বলেনি। নাওয়া-খাওয়া বাদ দিয়ে বসে আছে হিন্দু পরিবারের সকল সদস্য। ঝর্না হালদার ও গৌরী হালদার জানালেন মোহাম্মদ আলী মেম্বর ও তার দলবল মারপিট ও যে ভাষায় গালাগাল করলো তা ভাষায় প্রকাশ করার নয়। তারা তাদের সন্তান ও সংসারে আয়ক্ষম ব্যাক্তিদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।

চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হোসেন বাগচিকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন ‘ঘটনা আমার সামনেই ঘটেছে।’ তিনি আরও বলেন ঘটনাটি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।

এ বাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসিক মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। যাহার মামলা নং-২৫ তারিখ ২৮/০৩/২১ইং।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে সকলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, বিমল হালদার করমজা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে চাওয়ায় ক্ষিপ্ত হন মোহাম্মদ আলী মেম্বর। তারপর থেকেই হিন্দু জেলেদের উপর নেমে আসে নির্যাতন।