১০ই ডিসেম্বর, ২০২৫ 🔻 ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২🔻 ১৮ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭

সাঁথিয়ায় আত্রাইক্যানাল থেকে বাঁধ উচ্ছেদ

শেয়ার করুন:

সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিনিধিঃ পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার আই-৩,এস-১৯ আত্রাইক্যানালে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান। ক্যানালে মাছ চাষের জন্য দেওয়া অর্ধশত বাঁধ উচ্ছেদ। মৎস্যচাষের জন্য ঋন নেওয়া মৎস্যচাষীরা হতাশ। মৎস্যচাষীদের দাবী কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই উচ্ছেদ করা হচ্ছে লীজ নেওয়া জলাশয়ের বাঁধ।

জানাযায়, বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রæয়ারি) সকাল থেকেই সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ব্রীজ এলাকা থেকে আই-৩,এস-১৯ আত্রাইক্যানালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান শুরু করে। ভ্রাম্যমান আদালত দুপুর পর্যন্ত উপজেলার রঘুরামপুব ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক বাঁধ উচ্ছেদ করে। এছাড়াও ভ্রাম্যমান আদালত বুধবার মাধপুর থেকে ক্যানালের বাঁধ উচ্ছেদের কাজ শুরে করে। এতে বৈধ ও অবৈধ লক্ষ লক্ষ টাকার মাছ ভেসে যায় মৎস্য চাষীদের। সাঁথিয়া উপজেলার রঘুরামপুর গ্রামের মজিদ ড্রাইভারের ছেলে বিল্লাল জানান, পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে  প্রায় ৫ একর জলাশয় বৈধ ভাবে লীজ গ্রহণ করি। মাছ চাষের প্রয়োজনে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক সাঁথিয়া শাখা খেকে ৫ লক্ষ টাকা ঋন গ্রহণ করি। কোন প্রকার নোটিশ ছাড়াই আমার জলাশয় থেকে বাঁধ উচ্ছে করা হয়েছে। এতে আমার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষতিমাধন হয়েছে। সুজানগরের দুর্গাপুর গ্রামের আসলাম জানান, ক্যানালের বাঁধ উচ্ছেদ করায় আমার প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার ক্ষকি হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মাহমুদুল হাসান জানান, ক্যানাল পাড়ের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা অবৈধ ভাবে ক্যানাল দখল করে বাঁধ দিয়ে মৎস্যচাষ করার সাধারণ মানুষ গোসল থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় কাজে পানি ব্যবহার করতে পারে না। এছাড়াও বন্যা কালিন সময়ে পানি সরবরাহ করা কঠিন হয়ে পড়ায় জেলা আইন শৃংখলার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাঁধ অপসারণ চলছে। তিনি আরও বলেন বর্তমানে কোন মৎস্যচাষীকে নতুন করে লীজ দেওয়া হয় নাই। ভবিষৎতে তা না দেবার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে ক্যানাল থেকে বাঁধ উচ্ছেদের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তির ফিরে এসেছে বলে এলাকাবাসী জানান।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় উপস্থিত ছিলেন পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল আলম চৌধুরী, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহীন রেজা,পাউবোর সহকারী পরিচালক মোশারফ হোসেন, উপ-প্রধান সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আ: মমিন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।